পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
৪২
নরওয়ে ভ্রমণ

নরওয়ে ভ্রমণ তাতে বোঝাই করা ধান জড়, চেঁকিতে সে ধান ভানা, তারই খুদকুঁড়া দিয়া প্রস্তুত গাই-বলদের জানা কিছুই এখানে দেখিলাম না। এদের আছে পাকা ইটের পাকা দালান, আঙ্গিনাতে ফুলের বাগান, কলেতে চাষবাস করা, ক্ষেতের চারিধারে আঙ্গুরের বেড়া, রাস্তা ঘাট সব দুরন্তু, গাই-বাছুর সব মস্ত মস্তু। এই সব দেখিতে দেখিতে ছয়টা ঘণ্টা বেশ কাটিয়া গেল। সন্ধ্যায় প্রাক্কালেই সেই নির্ধারিত হোটেলে আসা গেল। আমাদের যাওয়ার পরেই, সেই পান্থশালার তত্ত্বাবধায়ক স্বয়ং আমাদিগের ত লইতে আসিলেন। আমাদিগকে সাদর সম্ভাষণ জানাইয়া ঠামাদিগের নিজ নিজ কামরার নম্বর জানিবার জন্য একটা বোর্ডের সামনে লইয়া গেলেন। পূর্বেই তারযোগে আমাদিগের নামের অলিক। কুক কোম্পানী ইহাকে পাঠাইয়া দিয়াছিল। তখন নম্বর জানিয়া, বৈদ্যুতিক ঘণ্টায় সে ঘরের পরিচারিকাকে ডাকা হলেই, এক প্রবীণ অঙ্গন। আসিয়া আমাদের আত্মার অপেক্ষায় পঁড়াইয়া রহিল। আবার সেই ভাষাবিভ্রাট! সে বেচারা হাতমুখের চালনায় যতটুকু পারা যায়, বুঝাইয়া আমাদিগকে ঘরে লইয়া চলিল। পথ। “ “ষ্ট্যাহীম হোটে”—গম্ভামে। মধ্যে আমাদিগের জাতিকুলশীল জানিবার একটা উগ্র বাসনা, যেন তার কৌতুহলবিস্ফারিত নেত্রের দৃষ্টিতে বাহির হইয়া পড়িতেছিল। সিড়ি দিয়া উঠিয়া, বামে দক্ষিণে খুরিয়া ফিরিয়া, তবে ঘর পাওয়া যায়। বিখ্যাত হোটেল হইলেই তার কামরার সংখ্যাও বহু হইয়া থাকে।