পাতা:নরওয়ে ভ্রমণ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।
নরওয়ে ভ্রমণ
৪৫

নরওয়ে প্রমণ। ৪৫ তোমাদের পাহাড়ের উচ্চতা দেখিলে আমাদের হাসি পায়। তবে দুই চার হাজার ফিট উঁচুতেই বরফ জমে বলিয়া তার একটা বিশেষ বাহার আছে বটে, কিন্তু আমাদের দেশের সেই কাঞ্চনজঙ্গা, ধবলগিরি ইত্যাদির বিপুলতা ও উচ্চতা তোমর ধারণাই করিতে পার না।” | সেও ছাড়িবার পাত্র নয়। একটু চঞ্চল হইয়া বলিল, “Lakes Madam, Lakes”। উত্তর করিলাম “তা তোমাদের মত মাঠে ঘাটে আমাদের Lakes নাই বটে, দু চারটা যা আছে তা তোমাদের নামজাদা হ্রদের চাইতে কোন অংশেই কম নয়। যা বলব! তোমাদের এই ফিয়, বাস্তবিক এক অভিনব নৈসর্গিক দৃশ্য! ইহা আমাদের দেশে কেন, জগতের আর কোথাও আছে বলিয়া জানি না। এর কথা শুনেই আমরা এত দূরে দেখতে এসেছি এবং দেখে খুবই খুসাও হয়েছি।” কথাবার্তায় ব্যস্ত ছিলাম, বাহিরের দিকে দৃষ্টি ছিল না। এখন চাহিয়া দেখি, প্রশস্ত পাইন ফরেষ্টের (Pine Forest) মধ্য দিয়া যাইতেছি। মহীধরগণের পাষাণের কঠোরতার মধ্যে সহসা মহারুইদিগের শাখা-পত্রের স্নিগ্ধ কোমল ছবি দেখিয়া ভাবিলাম, তাই ত! | ফিডের আর একটি দৃষ্ঠ “বজাদপি কঠোরাণি মৃদৃণি কুসুমাদপি। লোকোরাণাং চেংসি কোং বিজ্ঞতুমর্হতি।” ফলতঃ সেই পরম পুরুষের এই লীলাবিগ্রহ কে বুঝিবে? মাঝে মাঝে আবার বৃহৎ হ্রদের জলস্রোত যেন তাঁহারই “বিগলিত করুণা” বহিয়া চলিয়াছে। শুষ্ক অচল এই