পাতা:নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৬৬ সালে গৃহীত ও স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক রাষ্ট্রপক্ষের অনুস্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ১৯৭৬ সালে কার্যকারিতা লাভ করে। বর্তমানে এই চুক্তিতে অনুস্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৪০।

ব্যক্তির জীবনধারণের সহজাত অধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ব্যক্তিজীবনের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করা এই চুক্তির অন্যতম শর্ত। নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা ব। মর্যাদাহানিকর কোন আচরণ এই চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বন্দীকে তার বন্দিত্বের কারণ অবগত করা এবং কোন ফৌজদারী মামলায় আটক ব্যক্তিকে সত্বর বিচারক বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সমর্পণ করা এই চুক্তির স্বীকৃত প্রথা হিসেবে পরিগণিত।

আইনসঙ্গতভাবে বসবাসকারী কোন বিদেশীকে বহিষ্কার না করা এবং রাষ্ট্র সীমানায় ব্যক্তির স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকারসহ এই চুক্তি ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, নারী-পুরুষ, রাজনৈতিক বা অন্য কোন মতাদর্শ নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করে। যুদ্ধবিগ্রহসহ জাতি, গোত্র বা ধর্মীয় কোন উত্তেজনাকর আচরণ এই চুক্তি অনুমোদন করে না।

মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার জয়ন্তী পালন উপলক্ষে আমাদের লক্ষ্য International Covenant on Civil and Political Rights বা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরা। বাংলায় অনূদিত এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি পাঠক সমাজের উপকারে এলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে।

জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র ঢাকা, বাংলাদেশ