এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাট্য-বিকার।
৩৩
ভূতি। “কেন,তোর কি আর মুখে আগুণ দেবার লোক জুটলে না।”
দিগ। হ্যাঁ, তা বটে;তবে কি জান-বংশরক্ষা,বংশরক্ষা!”
ভূতি। “আমাকে কি মনে ধরেছে?”
দিগ। “ধরবে ধরবে করছে।”
ভূতি। যা যা,তুই বড় পাজী,তোর সঙ্গে আর কথা কব না।
দিগ। (সুরে)
“মুখের কথাটী রাধে,চাঁদ মুখের কথাটা রাধে।”
(ভূতির ঈষৎ হাস্য)
(সুরে)
“মুখের হাসি চাপলে কি রয়,
প্রাণের হাসি চোখে খেলে।”
ভূতি। ফের ন্যাকরা?ড্যাকরা,পাজী,ছুঁচে,নচ্ছার,চামার!
দিগ। দেখ্ ভূতি,তুই এক কাজ করবি?
ভূতি। কি?
দিগ। দেখ তুই যদি আমার সঙ্গে প্রভাস যজ্ঞ দেখতে যাস,তা হ’লে গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যার সময় বসে থাকিস,তোকে সঙ্গে করে নিয়ে যাব।
ভূতি। তুই কে?
দিগ। আরে আমি যে নন্দ মহারাজ, আর তুই যে বৃষভানুরাজনন্দিনী! তা দেখ্,সে বড় দূর পথ,তোর পোঁটল পুঁটলী আর যা কিছু টাকা কড়ি আছে সব জুটিয়ে নিস।আর আজ