পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डांव-मशनड। আমরা বিলেত যাওয়ার দরুণ সমাজ হতে যে মুক্তি লাভ করেছি। কৃতজ্ঞ । আমার শেষ কথা এই যে,-ইউরোপের সমাজের সকল আচার পদ্ধতি যে নির্বিচারে গ্রাহ করা আমাদের পক্ষে কৰ্ত্তব্য কিম্বা মঙ্গলকর তা অবশ্য নয়। জীবনের ধৰ্ম্মই হচ্ছে যে, তা মানুষকে ভালর দিকেও এগিয়ে দিতে পারে মন্দের দিকেও জিনিস আছে-জড়পদার্থই কেবল ষোল আনা জড় জগতের - আর কি মন্দ, সে বিচার করুবার শক্তি ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতেরা নেই। ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতের বিচার—সে ত পুথিগত বিষ্ঠার মল্লযুদ্ধ-তার উদ্দেশ্য সত্য নির্ণয় করা নয়, বিপক্ষকে চিৎ করা। পণ্ডিতেরা শিক্ষা করেন। শুধু ন্যায়ের প্যাচ ও কাটান। এ মল্লযুদ্ধ দেখতে । আমোদ আছে কিন্তু করে কোনও ফল নেই। কুস্তিগির পালোয়ানেরা যেমন আখড়ার বাইরে অকৰ্ম্মণ্য, ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতেরাও তেমনি শাস্ত্রের গণ্ডির বাইরে। অকৰ্ম্মণ্য। যে জ্ঞানের দ্বারা, যে বিচার-বুদ্ধির দ্বারা—আমাদের নবজীবনকে | জাতীয় মঙ্গলের পথে চালিত করা যায়—সে জ্ঞান, সে বুদ্ধি করতে হবে, যখন তা করা আবশ্যক হবে। এখন হচ্ছে । আমাদের বাইরে থেকে শক্তি সঞ্চয় করবার যুগ;-ঘরে বসে। ভয়ে ভাবনায় শক্তি অপব্যয় করবার নয়। আমরা যে হালখাতা খুলেছি তাতে বকেয়া টানা শুধু পণ্ডশ্রম। যদি প্রথম ফোঁকে ? ভুল পথে যাই তবে ঠেকে শিখে সে পথ ছাড়ব। উচ্ছঙ্খলতা