পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্রের মুখপত্র। v^ এ কথা শুনে অনেকে হয়ত বলবেন যে, যে দেশে এত DB BDBD DBBDDS DD LLLLL BB BBB DBD BDD DBDBDD পূরণ না করতে পারে, সে লেখা সাহিত্য নয়,-সখ। ও ত কল্পনার আকাশে রঙীণ কাগজের ঘুড়ি ওড়ানো, এবং সে ঘুড়ি যত শীঘ্ৰ কাটা পড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় ততই ভাল। অবশ্য ঘুড়ি ওড়াবারও একটা সার্থকতা আছে। ঘুড়ি মানুষকে অন্ততঃ উপরের দিকে চেয়ে দেখতে শেখায়। তবুও একথা সত্য যে মানব-জীবনের সঙ্গে যার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ নেই, তা সাহিত্য নয়, তা শুধু বাক-ছল। জীবন অবলম্বন করে’ই সাহিত্য জন্ম ও পুষ্টিলাভ করে, কিন্তু সে জীবন মানুষের দৈনিক জীবন নয়। সাহিত্য হাতে হাতে মানুষের অন্নবস্ত্রের সংস্থান করে দিতে পারে না। কোনও কথায় চিড়ে ভেজে না, কিন্তু কোনও কোনও কথায় মন ভেজে, এবং সেই জাতির কথারই সাধারণ সংজ্ঞা হচ্ছে সাহিত্য । শব্দের শক্তি অপরিসীম। রাত্রির অন্ধকারের সঙ্গে মশার গুনগুনানি মানুষকে ঘুম পাড়ায়-অবশ্য যদি মশারির DD LLDB DDSYKD BDB DBDDBB BBBS S DBDBBD কোকিলের ডাক মানুষকে জাগিয়ে তোলে। প্ৰাণ পদার্থটির গৃঢ়-তত্ত্ব আমরা না জানলেও, তার প্রধান লক্ষণটি এতই ব্যক্তি এবং এতই স্পষ্ট যে, তা সকলেই জানেন। সে হচ্ছে তার জাগ্ৰত ভাব। অপর দিকে নিদ্রা হচ্ছে মৃত্যুর সহোদরা। কথায় হয় আমাদের জাগিয়ে তোলে, নয়। ঘুম পাড়িয়ে দেয়-তাই আমরা কথায় মারি কথায় বঁচি। মন্ত্র সােপকে মুগ্ধ করতে পারে কিনা জানিনে, কিন্তু মানুষকে যে পারে তার প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ গোটা ভারতবর্ষ। সংস্কৃত শব্দ যে সংস্কারকে বাধা দিতে পারে তার প্রমাণ বাংলা সাহিত্য। মানুষ মাত্রেরই মন কতক সুপ্ত।