পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांश्७ि7-गशिला। গত সাহিত্য-সম্মিলনে একটি নূতন সুরের পরিচয় পাওয়া গেছে,-সে হচ্ছে সত্যের সুর। এ সুর যে বঙ্গ-সাহিত্যে পূর্বে কখনও শোনা যায়নি, তা নয়; তবে নূতনত্বের মধ্যে এইটুকু যে, আর পাঁচটি বিবাদী সম্বাদী ও অনুবাদী সুরের মধ্যে এবারকার পালায় এইটিই ছিল স্থায়ী সুর। এবং সে সুর যে অতি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, তার কারণ, তা কোমল নয়—তীব্র। এবারকার ব্যাপারের কৰ্ম্মকৰ্ত্তারা নিমন্ত্রিত অভ্যাগত সাহিত্যিকদের, প্রচলিত প্ৰথা মত-“আসুন বসুন” বলে’ সম্ভাষণ করেন নি; “উঠুন চলুন" বলে অভিভাষণ করেছেন! এরা সকলেই গলার আওয়াজ আধসুর চড়িয়ে' মুক্ত কণ্ঠে একবাক্যে বলেছেন যে-“এ দেশের সেকাল সত্যযুগ হতে পারে, কিন্তু একাল হচ্ছে মিথ্যার যুগ”। এই দেশব্যাপী মিথ্যার হাত হ’তে কি করে’ উদ্ধার পাওয়া যায়, তারি সন্ধান বলে’ দেওয়াটাই ছিল সাহিত্যাচাৰ্য্যদের মুখ্য উদ্দেশ্য। মিথ্যার চর্চা লোকে দু’ভাবে করে,-এক জেনে', আর এক না জেনে”। সত্য যে কি, তা জেনে'ও; কেউ কেউ কথায় ও কাজে তা নিত্য উপেক্ষা করেন। এ রোগের ঔষধ কি, বলা কঠিন-অন্তত ওর কোন টােটুক। আমার জানা নেই। অপর পক্ষে, অনেকে কেবলমাত্র মানসিক জড়তাবশত, ও-বস্তু যে কি, তার সন্ধান জানেনও না, নেন ও না। তাই সম্মিলনের মুখ