পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So , नन-कथी । আমাকে মনের রাশ টেনে ধরতে হবে। এ প্রবন্ধে আমার কতকগুলো সাদাসিধে ছোটখাটোদৈনিক আচারব্যবহারের আলোচনা করুবার অভিপ্ৰায় আছে। কিন্তু হঠাৎ দেখছি ধান ভানতে বসে শিবের গীত সুরু করে দিয়েছি। এখন ভূমিকা ছেড়ে - জমিতে নামাই আমার পক্ষে কৰ্ত্তব্য। আর একটি কথা বলেই আমি প্রকৃত প্রস্তাব আরম্ভ করব। সে কথাটি হচ্ছে এই--ভারতবর্ষের লুপ্ত সভ্যতা উদ্ধার করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়;-আজকের দিনে নিজের দেশে আপনার ভিতর যে নূতন সভ্যতার বীজের সন্ধান পেয়েছি, তাকেই পত্র-পুষ্প-ফল-মণ্ডিত মহাবৃক্ষে পরিণত করাই আমাদের একমাত্ৰ লক্ষ্য। স্ব-দেশের জ্ঞান লাভ করতে গিয়ে স্ব-কালের জ্ঞান যেন না হারাই। আমাদের নূতন সভ্যতা যে রূপই ধারণ করুক না কেন, মাটির গুণে তাকে স্বদেশী হতেই হবে। জীবনীশক্তির স্ফৰ্ত্তি, পরিবর্তনের ভিতর দিয়েই হয়। বীজ থেকে বৃক্ষ একটা ধারাবাহিক পরিবর্তনের সমষ্টি মাত্র। আমাদের ভবিষ্যৎ সমাজ, ভূত সমাজও হবে না, অদ্ভুত সমাজও হবে না। ইংরেজিয়ানার মোহে আমরা অদ্ভুতত্বের চৰ্চা করছিলুম, কিন্তু ভূতে না পেলে যে অদ্ভুতত্ব বৰ্জন করা যায় না, এমন নয়। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের জাতির ভিতর প্রাণ আছে। বৰ্ত্তমান অশান্তি শুধু নূতন জীবনের চাঞ্চল্য, মৃত্যুর অব্যবহিতপূর্ব বিকারের ছটফটানি নয়। যে সমাজে প্ৰাণ আছে, সে সমাজে প্ৰাণের যে প্রধান লক্ষণ,- বাইরের অবস্থার উপযোগী আত্মপরিবর্তন,-সে। লক্ষণ প্রচুর পরিমাণে দেখা যাবে। এ জগৎ গম ধাতু হতে উৎপন্ন,-এমন গুণী আমরা কেউ নই যে, জগতের ধাত বদলে দিতে পারি। স্বদেশীভাবের মূল হতে অনেক আশার ফুল ফুটুবে, কিন্তু ফল