পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের ঐক্য। Sei ( ७ ) জীবের অহং-জ্ঞান যেমন একটি দেহ আশ্রয় করে থাকে জাতির অহং-জ্ঞানও তেমনি একটি দেশ আশ্রয় করে থাকে। মানুষের যেমন দেহাত্ম-জ্ঞান তার সকল বিশিষ্টতার মূল, জাতির পক্ষেও তেমনি দেশাত্ম-জ্ঞান তার সকল বিশিষ্টতার মূল । ভারতবাসীর মনে এই দেশাত্ম-জ্ঞান যে অতি প্ৰাচীনকালে জন্মলাভ করেছিল, রাধাকুমুদবাবু নানারূপ প্ৰমাণপ্রয়োগের বলে তাই প্ৰতিপন্ন করতে চেষ্টা করেছেন। ভারতবর্ষ মহাদেশ হ’লেও যে একদেশ, এবং ভারতবাসীদের যে সেটি স্বদেশ, এ সত্যটি অন্তত দু'হাজার বৎসর পূর্বে আবিস্কৃত হ’য়েছিল। উত্তরে অলঙ্ঘ্য পর্বতের প্রাকার, এবং পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বে দুল্ল জ্য সাগরের পরিখা যে ভারতবর্ষকে অন্যান্য সকল ভূভাগ হতে বিশেষরূপে পৃথক ও স্বতন্ত্র করে রেখেছে, এ হচ্ছে প্রত্যক্ষ সত্য। তারপর, এদেশ অসংখ্য যোজন विठ्ठऊ शन७ সমতল ; এত সমতল যে, সমগ্ৰ ভারতবর্ষকে এক-ক্ষেত্র বললেও অত্যুক্তি হয় না। বিন্ধ্যাচল সম্ভবত এ মহাদেশকে দুটি চিরবিচ্ছিন্ন খণ্ডদেশে বিভক্ত করতে পারত, যদি অগস্ত্যের আদেশে সে চিরদিনের জন্য নতশির হয়ে থাকতে বাধ্য না হ’ত । রাধাকুমুদ বাবু দেখিয়েছেন যে, এই স্বদেশ-জ্ঞান ভারতবাসীর পক্ষে কেবলমাত্ৰ শুষ্ক জ্ঞান নয়, কিন্তু তাদের আত্যন্তিক প্রীতি ও ভুক্তির সঙ্গে জড়িত। ভারতবাসীর পক্ষে ভারতবর্ষ হচ্ছে পুণ্যভূমি -সে দেশের প্রতি ক্ষেত্ৰ-ধৰ্ম্মক্ষেত্ৰ, প্ৰতি নদীতীর্থ, প্রতি পৰ্বত-দেবাত্মা। কিন্তু এই ভক্তি-ভাব আৰ্য মনোভাব কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। বেদ হতে পঞ্চ bo