পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষের ঐক্য। S8? পথে উদিত হ’ত, এবং বঙ্গসাহিত্যে তারই গুণকীৰ্ত্তন করে আমরা যশ ও খ্যাতি লাভ করতুম। Imperialism-নামক আহেলবিলাতি পদার্থ পুরাকালে এদেশে ছিল, এরূপ কথা পূর্বে কেউ বললে তার উপর আমরা খড়গহস্ত হয়ে উঠতুম, কেননা ওরূপ কথা আমাদের দেশ-ভক্তিতে আঘাত করত। বৈরাগ্যের দেশ ঐহিক ঐশ্বৰ্য্যের স্পর্শে কলুষিত হয়ে ওঠে। কিন্তু আজ যে নব দেশভক্তি ঐ Imperialism-এর উপর এত ঝুকেছে, তার একমাত্র কারণ কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের আবিষ্কার। উক্ত গ্ৰন্থ থেকেই আমরা এই জ্ঞান লাভ করেছি যে, ইউরোপীয় রাজনীতির যা শেষ কথা ভারতবর্ষের রাজনীতির তাই প্ৰথম কথা । এই সত্যের সাক্ষাৎকার লাভ করে আমাদের চোখ এতই ঝলসে গেছে যে, আমরা সকল তন্ত্রে, সকল মন্ত্রে ঐ সাম্রাজ্যেরই প্রতিরূপ দেখছি। এরূপ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু আমাদের চোখ যখন আবার প্রকৃতিস্থ হবে, তখন আমরা এই প্ৰাচীন | Imperialism-কেও খুটিয়ে দেখতে পারব, এবং কৌটিল্যকেও জেরা করতে শিখব। ইতিমধ্যে এই কথাটি আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, চন্দ্ৰ গুপ্ত রাজনীতির ক্ষেত্রে যে মহাভারত রচনা করেছিলেন,-কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্ৰ শুধু তারই ভাষ্য। যে মনোভাবের উপর সে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সে মনোভাব । বৈদিক নয়, সম্ভবত আৰ্য্যও নয়। মনু প্ৰভৃতি ধৰ্ম্মশাস্ত্রের। সঙ্গে তুলনা করে দেখলে দেখতে পাওয়া যায় যে, উক্ত অর্থ শাস্ত্রকারের মানসিক প্ৰকৃতি এবং ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারদের প্রকৃতি এক নয়। সে পার্থক্য যে কোথায় ও কতখানি তা আমি একটিমাত্র উদাহরণের সাহায্যে দেখিয়ে দেব। " ཀ་ সংস্কৃত ভাষায় ধৰ্ম্ম শব্দের অর্থ Law, এবং শাস্ত্রকারদের | ܬ