Se नॉन-*थी । ব্যাপারী হলেও জাহাজের খোজ না নিয়ে থাকতে পারিনে । কেননা আজকের দিনে জাহাজ বাদ দিয়ে কোনও ব্যাপার নেই। সুতরাং পৃথিবীর শান্তিভঙ্গ করবার জন্য কে দায়ী, এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা আমাদের পক্ষে সম্পূর্ণ অনধিকার চর্চা নয়। এ প্রশ্নের উত্তরে সাভিয়া, রাসিয়া, বেলজিয়ম, ফ্রান্স এবং ইংলণ্ড বলেন দোষী জাৰ্ম্মানী। এমন কি জাৰ্ম্মানীর মিত্ররাজ্য ইটালিও স্পষ্টাক্ষরে এই মতেই সায় দিয়ে জাৰ্ম্মানীর সঙ্গে সন্ধি-বিচ্ছেদ করেছেন। অর্থাৎ ইউরোপে জাৰ্ম্মানেতর সকল জীতই একবাক্যে জাৰ্ম্মানীর উপরই দোষারোপ করছে। অপর পক্ষে জাৰ্ম্মান-সম্রাট ঈশ্বর সাক্ষ্য করে, মুক্ত কণ্ঠে এই ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, অপরে জোর করে তার হাতে তলোয়ার গুজে দিয়েছে। কিন্তু সে অপর যে কে, তার কোনও উল্লেখ নেই। সম্ভবত এ স্থলে অপর শব্দের অর্থ বিশ্বমানব । Prince wion Bulow এই স্পৰ্দ্ধা করেছেন যে, যেহেতু পৃথিবীর অপর সকলে ভূতপ্ৰেত, সে কারণ র্তারা সূৰ্য্যলোকে কিম্বা সূৰ্য্যালোকে বাস করবেন। আত্মশ্লাঘা করাটা হাল জাৰ্ম্মান-রাজনীতির একটি প্রধান অঙ্গ। লোকে বলে এক হাতে তালি বাজে না, কিন্তু এক হাতে যে চপেটাঘাত করা যায় না, এ কথা কেউ বলে না। জাৰ্ম্মানীই যে অকারণে সমগ্ৰ ইউরোপের গণ্ডে চপেটাঘাত করেছেন, তার প্রমাণ Bulow-র সদ্য-প্ৰকাশিত Imperial Germany নামক গ্ৰন্থ হতেই পাওয়া যায়। গ্রন্থকার বহুকাল জাৰ্ম্মানীর সর্বপ্রধান রাজমন্ত্রাপদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, সুতরাং র্তার মুখেই জাৰ্ম্মান রাজনীতির পূর্ণ পরিচয় লাভ করা যাবে। Bulow-র মতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জাৰ্ম্মানী অসংখ্য খণ্ডরাজ্যে বিভক্ত ছিল বলে” জাৰ্ম্মান জাতির কোন রাষ্ট্রবল ছিল
