পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইউরোপে কুরুক্ষেত্র। ya থেকে মানবসমাজের উন্নতির জন্য চিন্তা করে ও চেষ্টা করে। বৰ্ত্তমান সভ্যতার জপ-মন্ত্র হচ্ছে-progress। দ্বিতীয়ত-বৰ্ত্তমানে সমাজ ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর প্রতিষ্ঠিত। এ যুগে মানুষের উপর মানুষের কোন অধিকার নেই। প্রতি লোকেই নিজের ইচ্ছা, রুচি ও চরিত্র অনুসারে নিজের জীবন গঠন করতে পারে। প্রাচীন প্রথার বন্ধন থেকে সবাই মুক্ত । ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে, চিন্তা সম্বন্ধে, মতামত প্ৰকাশ সম্বন্ধে সকলেরই সমান স্বাধীনতা আছে। ইউরোপে মানুষ আজ মানুষের দাস নয়। তৃতীয়ত-বৰ্ত্তমান সমাজ সাম্যনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রাচীন সমাজ উচ্চ-নীচ হিসাবে নানা সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল, এবং প্ৰতি সম্প্রদায়ের বিশেষ অধিকার ও বিশেষ কৰ্ত্তব্য ছিল । এ যুগের আইনকানুনে এই অধিকারভেদ ও কৰ্ত্তব্য-ভেদের স্থান নেই। অর্থের তারতম্য ব্যতীত ইউরোপে মানুষ মাত্রেই অধিকারে ও কীৰ্ত্তব্যে একজাতীয় । চতুর্থত-বৰ্তমানে রাজ্য স্বায়ত্ত-শাসনের উপর প্রতিষ্ঠিত। পূর্বে ইউরোপে জাতি বলতে কোন দেশের জনগণকে বােঝােত না। সে কালে শাসক-সম্প্রদায় বলে একটি বিশেষ সম্প্রদায় DD S BBzBB DBD DBBDBBDDBD DBDDBD BD DDD S DDS বাকী লোকের শাসনকাৰ্য্যের সঙ্গে কোনই সম্পর্ক ছিল না । আজ মানুষ মাত্রেই রাষ্টের (Body politic) অন্তভুত। ধনী, দরিদ্র, উচ্চ, নীচ, সকলেরই ভোট আছে, এবং সকলের মতই সমান মূল্যবান। পঞ্চমত-ইউরোপীয় সমাজ নিরাপদ। পূর্বের ন্যায় দম্ব-ভয়ও নেই, রাজকৰ্ম্মচারীদের অত্যাচারও নেই। এ যুগের