পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qや नांनी-कर्थीं । রাজকৰ্ম্মচারীরা অধিকাংশই শিক্ষিত ও সচ্চরিত্র, তা ছাড়া র্তাদের কাৰ্য্যের উপর গভরমেণ্টের দৃষ্টি সর্বদাই থাকে। ষষ্ঠত-বৰ্ত্তমান ইউরোপীয় সভ্যতা শান্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীতে আজও যুদ্ধবিগ্ৰহ আছে; কিন্তু ইউরোপের মতে যুদ্ধব্যাপার একটি পাপ—কেবল কোন কোন অবস্থায় কোন কোন জাতিকে দায়ে পড়ে এ কাৰ্য্য করতে হয়। ইউরোপে বৰ্ত্তমানে ক্ষত্ৰিয় বলে কোন মহামান্য এবং অসামান্য ক্ষমতাপন্ন সম্প্রদায় নেই। বৰ্ত্তমানে মানুষে কৰ্ত্তব্যের খাতিরে সৈনিক হয়,-সখের জন্যও নয়, মানের জন্যও নয়। বৰ্ত্তমানে যুদ্ধ-ব্যাপারটি এমন ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয়েছে যে, যুদ্ধ একালে অতি কম হয়, এবং অতি কম দিনের জন্য হয়। ইউরোপীয় সভ্যতার উপরোক্ত বৰ্ণনা যে সত্য, তা যিনিই ইউরোপের ইতিহাস আলোচনা করেছেন, তিনিই স্বীকার द (ठ दJ । ( 8 ) যে সকল মনোভাবের উপর বর্তমান ইউরোপীয় সভ্যতা প্রতিষ্ঠিত, ইংলণ্ডে তার উৎপত্তি, এবং ফ্রান্সে তার পরিণতি হয়েছে। নেপোলিয়ানের অধঃপতনের পর, রাসিয়া অষ্টীয়া এবং প্রশিয়া এই নূতন সভ্যতার উচ্ছেদ এবং মধ্যযুগের পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য একবার বদ্ধপরিকর হয়েছিলেন, কিন্তু সে সভ্যতা নষ্ট করবার ক্ষমতা সে-কালে এই তিন-রাজ্যের মিলিত শক্তিরও ছিল না। এ সভ্যতাকে ঘাঁ-খাওয়াবার শক্তি আজ একমাত্র জাৰ্ম্মান-সম্রাজেই আছে। কেননা রাসিয়া ইউরোপের ভূগােলের