পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》g8 নানা-কথা । , সভ্যতা নেই। যা অনেক অংশে প্রাচীন নয়। যেমন আমাদের বৰ্ত্তমান সভ্যতা কিম্বা অসভ্যতা এক-অংশে প্রাচীন হিন্দু এবং আর-এক-অংশে নব্য ইউরোপীয়-তেমনি ইউরোপের বর্তমান সভ্যতা আট আনা নতুন হলেও আট আনা পুরোনো। সুতরাং এই যুদ্ধের জন্য ইউরোপের নব-মনোভাবকে সম্পূর্ণ দায়ী করা যেতে পারে না, বরং তার পূর্ব-সংস্কারকেই এর জন্য দোষী করা অসঙ্গত হবে না । মানুষে মানুষে কাটাকাটি মারামারি করা যদি অসভ্যতার লক্ষণ হয় তাহলে বলতে হবে ইউরোপের বর্তমান যুগের অপেক্ষা মধ্যযুগ ঢের বেশি অসভ্য ছিল। সে যুগে যুদ্ধপার্বণ বারো মাসে তের বার হত এবং সে কালের মতে ও-কাৰ্য্যটি নিত্যকৰ্ম্মের মধ্যে গণ্য ছিল। মধ্যযুগকে ইউরোপীয়েরা কৃষ্ণযুগ বলেন-কিন্তু আসলে সেটি রক্তযুগ। আমরা আমাদের বর্তমান মনোভাববশতই যুদ্ধকাৰ্য্যটি হেয় মনে করি-প্রাচীন মনোভাব থাকলে শ্ৰেয়ঃ মনে করাতুম। ইউরোপের নবযুগ অবশ্য এক হিসাবে যন্ত্রযুগ কিন্তু তাই বলে মধ্যযুগ যে মন্ত্রযুগ ছিল, তা নয়। যে হিসাবে মধ্যযুগ ধৰ্ম্মপ্রাণ ছিল সে হিসাবে নবযুগ ধৰ্ম্মপ্ৰাণ নয়। সে হিসাবটি যে কি, তা একটু পরীক্ষা করে দেখা আবশ্যক। ৰৌদ্ধবর্মের মত খৃষ্টধৰ্ম্মেরও ত্রিরত্ন আছে;— সে হচ্ছে খৃষ্ট, ধৰ্ম্ম ও সঙ্ঘ্য ; এবং খৃষ্টিয়ানমাত্রেই নামমাত্র এই তিনের স্মরণ, গ্ৰহণ করেন। কিন্তু যুগভেদে এই তিনের মধ্যে এক একটি রত্ন সর্বাপেক্ষা মহামূল্য হয়ে উঠে। ] eiq (IF (Primitive Christianity ) খৃষ্টিয়ানের পক্ষে খৃষ্টই ছিল শরণ্য। মধ্যযুগে খৃষ্টের স্থান খৃষ্ট-সঙ্ঘ অধিকার করেন এবং ইউরোপের মনোরাজ্যে একাধিপত্য স্থাপন