পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

° নানা-কথা । YYYu; করবার, কোনও বৈধ কারণ নেই। ইউরোপের নবযুগের নবসভ্যতার যথার্থ উত্তরাধিকারী হচ্ছে এই দু’টি দেশ। ইংরাজ ও ফরাসী উভয়েই ক্ষত্রিয়যুগ উত্তীর্ণ হয়ে বৈশ্যযুগে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সুতরাং এদের দেহে রণসজ্জা থাকলেও মনে খাটি militarism নেই। অপর পক্ষে জৰ্ম্মানী হচ্ছে যুদ্ধপ্ৰাণ ; militarism-জৰ্ম্মানীর যুগপৎ ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্ম । বৰ্ত্তমান জৰ্ম্মানীর এরূপ মনোভাবের জন্য দায়ী জন্মানীর পূর্ব-ইতিহাস। প্ৰায় আটশত বৎসর ধরে ইউরোপে জৰ্ম্মানজাতির কোনরূপ প্ৰভুত্ব ছিল না—তার কারণ জৰ্ম্মানরা এই দীর্ঘকালের ভিতর একটি জৰ্ম্মান-রাজ্য কিম্বা একটি জৰ্ম্মানজাতি গড়ে তুলতে পারে নি। যে কালে ইংলণ্ড, ফ্ৰান্স প্রভৃতি দেশ স্বাতন্ত্র্য এবং স্বরাজ্য লাভ করেছিল, সে কালে জৰ্ম্মানী শত শত পরস্পর-বিরোধী খণ্ডরাজ্যে বিভক্ত ছিল। এ কতকটা জৰ্ম্মানীর কপালের দোষে, কতকটা তার বুদ্ধির দোষে।। জৰ্ম্মানী সমগ্ৰ ইউরোপের সম্রাট হবার দুরাশা হৃদয়ে পোষণ করত বলে, স্বদেশেও একরাট হতে পারে নি। কোনও কোনও বৌদ্ধদেশে দুটি করে রাজা থাকেন; ; ; একজন প্ৰকৃতিপুঞ্জের আত্মার প্রভু, আর-একজন দেহের । মধ্যযুগের প্রথম ভাগে সমগ্ৰ ইউরোপীয় মানবকে এইরূপ দুইছত্রের অধীন করবার চেষ্টা করা হয়েছিল। পোপ ইউরোপের ধৰ্ম্মরাজের পদ এবং জৰ্ম্মানরাজ দেবরাজের পদ অধিকার করে বসেছিলেন। ইউরোপ একটি মহাদেশ এবং ইউরোপীয়েরা নানা বিভিন্ন জাতীয় সুতরাং ঐহিক কিৎসা পাৱত্রিক কোনও বিষয়ে একজাতি হওয়া যে তাদের পক্ষে