পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্তমান সভ্যতা বনাম বৰ্ত্তমান যুদ্ধ। ১৭১ ৷৷ অসম্ভব, এ কথা পোপও স্বীকার করেন নি, জৰ্ম্মান-সম্রাটও পীকার করেন নি। জাৰ্ম্মানজাতি যে, ইউরোপের অন্যান্য জাতি চতে মনে ও চরিত্রে পৃথক, এ সত্য উপেক্ষা করবার ফলে জৰ্ম্মানী ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ল। স্বদেশ এবং স্বজাতির উপর কোনরূপ একাধিপত্য না থাকলেও জৰ্ম্মান সমাট তার সমাটিপদবী এবং সাম্রাজ্যের আশা ত্যাগ করতে পারলেন না, এবং সি জাতিকে নিয়ে একটি স্বরাজ্য গঠন করবার চেষ্টামাত্রও রূলেন না। এই কারণে জৰ্ম্মানজাতির পূর্বে কোনরূপ রাষ্টশক্তি ছিল না। অথচ জৰ্ম্মানজাতির ভিতর কি দেহের, কি বুদ্ধির, কি চরিত্রের কোনরূপ বলের যে অভাব ছিল নাজৰ্ম্মান কাব্যে দর্শনে শিল্পে সঙ্গীতে ধৰ্ম্মে ও কৰ্ম্মে তার প্রকৃষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। ফলে জৰ্ম্মানীর মহাপুরুষেরা লৌকিকস্বাজোর আশা ত্যাগ করে চিন্তা রাজ্য অধিকার করাই নিজেদের ক্ষে দ্রব্য বলে মেনে নিলেন। সম্ভবত জৰ্ম্মানজাতির ইতিহাস অদ্যাবধি ঐ একই পথ অনুসরণ করে চলতা—যদি নেপোলিয়ান জৰ্ম্মানজাতিকে আকাশ থেকে টেনে মাটিতে ফেলে পদদলিত না করতেন। ১৮০৬ খৃষ্টাব্দে Jenaার যুদ্ধে পরাজিত এবং লাঞ্ছিত হবার পর জন্মান মাত্রেরই এ জ্ঞান জন্মাল যে, জৰ্ম্মানীর পণ্ডরাজ্য সকলকে একত্র করে একটি যুক্তরাজ্যে পরিণত না । করতে পারলে জৰ্ম্মানজাতির পক্ষে অস্তিত্ব রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ་་་་་་་་་་་་་་་་་-- অসংখ্য দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, অধ্যাপক প্রভৃতি। চিরজীবন প্ৰাণপণে চেষ্টা করেও এ ব্ৰত উদযাপন করতে । পারেন নি; কিন্তু আজ প্রায় পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে বিস্মার্ক । দু'টি যুদ্ধের সাহায্যে জৰ্ম্মানজাতির প্রাণের আশা ফলে পরিণত ।