পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান সভ্যতা বনাম বৰ্ত্তমান যুদ্ধ। Sዓ¢ আজ তাই তার নব-idealism প্রচার করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন। আধ্যাত্মিক জগতের নব্য-পন্থীদের সার কথা এই যে, বৈশ্য সভ্যতায় মানুষের মনুষ্যত্ব নষ্ট করে। বৈশ্য-যুগে মানুষ আরামপ্ৰিয় ও ভোগবিলাসী হয়ে পড়ে। মানুষ বিষয়প্ৰাণ হলে তার মনের শক্তি ও আত্মার শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। বৰ্ত্তমান ইউরোপীয় সভ্যতা যে, আত্মার অপেক্ষা দেহকে প্রাধান্য দেয় তার বিশিষ্ট প্রমাণ এই যে – মানবজীবনকে যতদূর সম্ভব BBBD BBB SBDD AS DBBDBDDBB DBDS S DDDD D BDBDDBD ভক্তি থাকে না, অথচ বৰ্ত্তমান সভ্যতা জনসাধারণকে রাজভয়, দাসু্যভয় ও মৃত্যুভয় এই ত্ৰিবিধ ভয় থেকে মুক্ত করেছে। অন্নবস্ত্রের সংস্থান করা অবশ্য জীবনধারণের জন্য আবশ্যক। কিন্তু অর্থকেই জীবনের সার পদাৰ্থ করে তুললে মানুষ অন্তঃসার শূন্য হয়ে পড়ে। সুতরাং মানুষের মনুষ্যত্ব রক্ষা করবার জন্য সামাজিক জীবন আবার বিপদ-সন্ধুল করে তোলা দরকার। এ যুগে এক যুদ্ধ ব্যতীত অপর কোনও উপায়ে সে উদ্দেশ্য সাধিত হতে পরে না। অতএব ইউরোপীয় সমাজকে পুনর্বার ক্ষত্ৰিয় শাসনাধীন করা আবশ্যক ; কেননা, বৈশ্য বুদ্ধি যুদ্ধের প্রতিকূল। এবং ইউরোপের রাজনীতি ক্ষত্রধৰ্ম্মের উপর প্ৰতিষ্ঠিত করবার ক্ষমতা একমাত্ৰ জৰ্ম্মানীর আছে ; কেননা জৰ্ম্মানীর বৈশ্যশূদ্রের আজও কোনরূপ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেই। সুতরাং অর্থীরাজ্যের উচ্ছেদ করে পৃথিবীতে ধৰ্ম্মরাজ্যের ংস্থাপন করবার ভার জার্মানীর হাতে পড়েছে। এই কারণে যুদ্ধ করা জৰ্ম্মানীর পক্ষে সর্বপ্রথম কৰ্ত্তব্য ! জৰ্ম্মানীর নবmilitarism-এর প্ররোচনাই এই যুদ্ধের সাক্ষাৎ কারণ। : „S Teas F Hq: '*ífT militarism SECTI(°F