পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

չեՀ 可R-夺外1 নেশ্বর। মদ আর আফিং এই দু'টি জুড়িতে চালাতে পারে সমাজে এমন লোকের অভাব নেই। আসল কথা, নব-শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে হাজারে নশ’ নিরানব্বই জন কস্মিনকালে প্ৰাচীন সমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নি। অদ্যাবধি তারা কেবলমাত্র অশনে বসনে ব্যসনে ও ফ্যাসনে সামাজিক নিয়ম অতিক্রম করে আসছেন ; কেননা, এ সকল নিয়ম লঙ্ঘন করবার দরুণ র্তাদের কোনরূপ সামাজিক শাস্তিভোগ করতে হয় না। পুরাতন সমাজ-ধৰ্ম্মের অবিরোধে নূতনকামের সেবা করাতে সমাজ কোনওরূপ বাধা দেয় না, কাজেই শিক্ষিত লোকেরা ঘরে ঘরে নিজের চরকায় বিলেতি তেল দেওয়াটাই তাদের জীবনের ব্রত করে তুলেছেন। এ শ্রেণীর লোকেরা দায়ে পড়ে সমাজের যে-সকল পুরোনো নিয়ম মেনে চলেন, অপরের গায়ে পড়ে তারই নতুন ব্যাখ্যা দেন। এরা নূতন পুরাতনে বিরোধ ভঞ্জন করেন নি— যদি কোন-কিছুর সমন্বয় করে থাকেন ত, সে হচ্ছে সামাজিক সুবিধার সঙ্গে ব্যক্তিগত আরামের সমন্বয়। পুৱাতনের সঙ্গে নূতনের বিরোধের সৃষ্টি সেই দু-দশজনে করেছেন, যারা সমাজের মরচে-ধরা চরকায় কোনওরূপ তৈল প্ৰদান করবার চেষ্টা করেছেন—সে তেল দেশীই হোক, আর বিদেশীই হোক। এর প্রমাণ রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর, দয়ানন্দ স্বামী, কেশবচন্দ্ৰ সেন ইত্যাদি। এর প্রথম তিন জন সমাজের দেহে যে স্নেহ প্রয়োগ করেছিলেন, সেটি খাটি দেশী এবং সংস্কৃত । অথচ এরা সমাজদ্রোহী বলে গণ্য। সমাজ সংস্কার, অর্থাৎ পুরাতনকে নূতন করে তোলবার চেষ্টাতেই এদেশে নুতন-পুরাতনে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।