পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নূতন, ও পুরাতন । , 9ܬ নি। উক্ত দর্শনের মতে - সত্ত্বগুণ রজোগুণের অতিরিক্ত, অন্তর্ভূত নয়। সাত্ত্বিক-ভাব যে বিরোধের ভাব নয়, তার কারণ রজোগুণ যখন তমোগুণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়, তখনই তা সত্ত্বগুণে পরিণত হয়। হেগেলের মত অবশ্য সংখ্যমতের সম্পূর্ণ বিপরীত। সাংখ্যকে উল্টে ফেললে যা হয়, তারই নাম হেগেল-দর্শন। সাংখ্যমতে সূক্ষ্য অনুলোমক্রমে স্থূল হয়, হেগেল-মতে ঐ একই পদ্ধতিতে স্থূল সূক্ষম হয়। সাংখ্যের প্রকৃতি হেগেলের পুরুষ। সাংখ্যের মতে সৃষ্টিতে প্ৰকৃতি বিকারগ্রস্ত হন, হেগেলের মতে পুরুষ সাকার হন। " বিপিনবাবু দেশী-বিলাতি-দর্শনের সমন্বয় করে যে মীমাংসা করেছেন সে হচ্ছে অপূর্ব মীমাংসা-কেন না, কি স্বদেশে, কি বিদেশে, ইতিপূর্বে এরূপ অদ্ভুত মীমাংস৷ আর কেউ করেন নি। নূতন-পুরাতনের সমন্বয়ের এই যদি নমুনা হয়—তাহলে নূতন ও পুরাতন উভয়েই সমন্বয়কারকে বলবে-“ছেড়ে দে यांदा, लg' बँ।ि” বিপিনবাবু যাকে সমন্বয় বলেন, বাঙ্গলা ভাষায় তার নাম খিচুড়ি । । সমাজ-দেবতার নিকটে পালমহাশয় যে খিচুড়ি-ভোগ নিবেদন করে দিয়েছেন, যিনি তার প্রসাদ পাবেন তার যে কৃষ্ণপ্ৰাপ্তি হবে, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। আসল কথা এই যে, দর্শনবিজ্ঞানের মোট কথার আশ্ৰয় নেওয়ার অর্থ হচ্ছে কোনও বিশেষ সমস্যার মীমাংসা করা নয়, --তার কাছ থেকে পলায়ন করা। দর্শন কি বিজ্ঞান যে আজ পৰ্যন্ত এমন কোনও সাধারণ নিয়ম আবিষ্কার করেন নি যার সাহায্যে কোনও বিশেষ বিষয়ের বিশেয় মীমাংসা করা Rł