পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द&gठीऊ। दह्रै कि ? কোন বিশেষ পদার্থের অভাব নয়, সপ্তাবের উপরেই মানুষের মনে তদ্বিষয়ক জ্ঞান প্রতিষ্ঠিত। রবীন্দ্রবাবুর কাব্য-সম্বন্ধে রাধাকমলবাবুর মতের প্রতিবাদ করাও আমার উদ্দেশ্য নয়। কোন একটি মতের খণ্ডন করতে হলে সে মতটি যে কি তা জানা আবশ্যক। “Iceland-এ সাপ নেই”-এ কথা অপ্ৰমাণ করবার জন্য লোককে দেখিয়ে দেওয়া দরকার যে, সে দেশে সাপ আছে, এবং তার জন্য সাপ যে কি-বস্তু সে বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার। রবীন্দ্ৰবাবুর কাব্যে “বস্তুতন্ত্রতা” আছে, কি নেই, সে বিচার করতে আমি অপারগ, কেননা রাধাকমলবাবুর সুদীর্ঘ প্রবন্ধ থেকে “বস্তুতন্ত্ৰত|” যে কি বস্তু তার পরিচয় আমি লাভ করতে পারি নি। তিনি সাহিত্যে বাস্তবতার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে “নিত্যবস্তু”র উল্লেখ করেছেন। “বস্তুতন্ত্রতা”র অর্থ গ্ৰহণ করা যদি কঠিন হয় তাহ’লে “নিত্য-বস্তুতন্ত্রতা”র অর্থ গ্রহণ করা যে অসম্ভব, সে কথা বলা বাহুল্য। সেই বস্তুই নিত্য, যা কালের অধীন নয়। এরূপ পদার্থ যে পৃথিবীতে আছে। এ কথা এ দেশের প্রাচীন আচার্যেরা স্বীকার করেন নি। বিষ্ণুপুরাণের মতে— । “যাহা কালান্তরেও অর্থাৎ কোন কালেও পরিণামাদিজনিত সংজ্ঞান্তর প্ৰাপ্ত হয় না, তাহাই প্ৰকৃত সত্যবস্তু। জগতে সেরূপ কোন বস্তু আছে কি ?--কিছুই না।”-( রামানুজস্তৃত বচন—শ্ৰীভাষ্য) যে বস্তু জগতে নেই, সে বস্তু যদি কোন কাব্যে না থাকে তাহ’লে সে কাব্যের বিশেষ কোনও দোষ দেওয়া যায় না, কেননা এই জগতই হচ্ছে সাহিত্যের অবলম্বন।