পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০৮, ১ নানা-কথা । । স্মৃষ্টি হয়েছে, এই বিশ্বাসবশতই ইউরোপের একদল বস্তুতান্ত্রিক-দার্শনিক ধৰ্ম্ম কাব্য আর্ট নীতি প্রভৃতি আধ্যাত্মিক ব্যাপার সকলের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করেছিলেন। বলা বাহুল্য, ওরূপ ব্যাখ্যায় পারিপাশ্বিক অবস্থারই বর্ণনা করা হয়েছিল, কাব্য প্রভৃতির বিশেষ-ধৰ্ম্মের কোনও পরিচয় দেওয়া হয় নি। দ্বার্শনিক ভাষায় বলতে গেলে, তার কাব্যের উপাদান-কারণকে তার নিমিত্ত-কারণ বলে ভুল করেন। তঁরা বাহাশক্তিতে বিশ্বাস করতেন, আত্মশক্তিতে বিশ্বাস করতেন না, সুতরাং র্তাদের মতে কবির আত্মশক্তি নয়, পারিপাশ্বিক সমাজের বাহশক্তিই কাব্যের উৎপত্তির কারণ বলে স্থিরীকৃত হয়েছিল। কবিতার জন্ম ও কবির জন্মবৃত্তান্ত যে স্বতন্ত্র, এই সত্য উপেক্ষা করবার দরুণ সাহিত্যতত্ত্ব সমাজতত্ত্বের অন্তভূত হয়ে পড়েছিল। . রাধাকমলবাবুর বস্তুতন্ত্রতা ইউরোপের গত-শতাব্দীর materialism-এর অস্পষ্ট প্ৰতিধ্বনি বই আর কিছু নয়। আসল কথা এই যে, প্ৰতি কবির মন এক-একটি স্বতন্ত্র রসের উৎস। কবির। কাৰ্য্য হচ্ছে সামাজিক মনকে সরস করা । কবির মনের সঙ্গে অবশ্য সামাজিক মনের আদান-প্ৰদানের সম্পর্ক আছে। কবি কিন্তু সমাজের নিকট হতে যা গ্ৰহণ করেন সমাজকে তার চাইতে ঢের বেশি দান করেন । যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, কবি এই অতিরিক্ত রস কোথা হতে ংগ্রহ করেন ? তার উত্তরে আমরা বলব— আধ্যাত্মিক জগৎ । হতৃে; সে জগৎ অবাস্তবও নয় এবং তা কোন পরম ব্যোমেতেও | অবস্থিতি করে না। সে জগৎ আমাদের সত্ত্বার মূলে ও ফুলে। BDD DBBD S S DBBD DBD Dz SBB DDYS