পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अछिङाष१ । RR কেহ করিবেন না যে, এই বেশ-পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমার মতেরও পরিবর্তন ঘটিয়াছে। সময়োচিত বেশ ধারণ করা, আমাদের সমাজের সনাতন প্ৰথা। আমরা কৈশোরের প্রারম্ভে অন্তত তিন দিনের জন্যও কর্ণেসুবর্ণ কুণ্ডল এবং দেহে গৈরিক বসন ধারণ করিয়া, মুণ্ডিত-মস্তকে, বুলি স্কন্ধে, দণ্ড হন্তে, নগ্নপদে ভিক্ষা মাগি । এই আমাদের প্রথম সংস্কার। তাহার পর যৌবনের আরম্ভে অন্তত এক দিনের জন্যও আমরা রাজবেশ ধারণ করিয়া তকত-রাঙ্গায় চড়িয়া ঢাক-ঢোল বাজাইয়া পাত্ৰমিত্রসমভিব্যাহারে কণে নামক একটি অবলা প্রাণীর গৃহাভিমুখে রণযাত্ৰা করি। ইহাই আমাদের দ্বিতীয় সংস্কার। আমরা যখন রাজাও সাজিতে জানি, ব্ৰহ্মচারীও সাজিতে জানি, তখন সভ্য সাজা ত আমাদের পক্ষে অতি সহজ। জীবনে সভ্যতার সাজ খোলাই কঠিন, পর সহজ। ( ܥ ) ভাষা সাহিত্যের মূল উপাদান, সুতরাং সাহিত্য-পরিষদে ভাষা-সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা অপ্ৰাসঙ্গিক হইবে না । লেখকেরা ভাষার সৌন্দৰ্য্যের দ্বারাই পাঠকের মনোরঞ্জন করেন এবং ভাষার শক্তির দ্বারাই পাঠকের মন হরণ করেন। কাজেই কোনও লেখক আর সাধ করিয়া শ্ৰীহীন এবং শক্তিহীন ভাষা ব্যবহার করেন না। আমরা যে লেখায় মৌখিক ভাষার পক্ষপাতী, তাহার কারণ আমাদের বিশ্বাস, আমাদের মাতৃভাষা রূপে যৌবনে তথাকথিত সাধুভাষা অপেক্ষা অনেক শ্রেষ্ঠ। এ সম্বন্ধে আমার বক্তব্য-কথা আমি নানা সময়ে, নানা স্থানে, নানা ভাবে প্ৰকাশ করিয়াছি। আত্মমত সমর্থনের জন্য কখনও N