পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ , नॉन-कथीं। শ্ৰীযুক্ত অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয় গত দুই বৎসর ধরিয়া লোকারণ্যে এই বলিয়া রোদন করিতেছেন যে, দেশের সর্বনাশ হইল, সুকুমার সাহিত্য মারা গেল। তঁহার আক্ষেপ এই যে, র্তাহার কথায় কেহ কান দেয় না, কেননা বাঙালী আজ তঁাহার BDTSuDBBDB DBD BBDBDB DBLE BDDBDS DBDBDSDDDBS বিদ্যাদর্শন পুরাবৃত্ত ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব জীবতত্ত্ব ; হারাইতে বসিয়াছে।-দয়ামায়া , শ্রদ্ধাভক্তি, স্নেহ-মমতা, কারুণ্য-আতিথ্য আনুগত্য শিষ্যত্ব। আমরা কোমলপ্ৰাণ বাঙালী, আমাদের আশঙ্কা হয়, আমরা কোমলতা হারাইয়া বুঝিবা সর্বস্ব হারাইয়া ফেলি।” বাঙালীর হৃদয়ের রক্ত সব যে মাথায় চড়িয়া গিয়াছে এ কথা যদি সত্য হয়, তাহা হইলে অবশ্য বাঙালীর জীবনসংশয় উপস্থিত হইয়াছে। তবে মস্তিষ্কের চালনা ব্যতীত এ যুগে যে সাহিত্য রচনা করা যাইতে পারে না। এ কথা নিশ্চিত । সরকারমহাশয় প্রাচীন সাহিত্যের পক্ষপাতী, কেননা তঁহার বিশ্বাস অতি নিকট-অতীতে,- “বাঙ্গালী গ্রামে গ্রামে পালোয়ান, বাগদী, গোপ চণ্ডাল প্রহরী রাখিয়া আপনাদের বিত্তস্বত্ব রক্ষা করিত”, এবং তাহার প্ৰধান কাজ ছিল-“আহারান্তে খড়ের চণ্ডীমণ্ডপে খুটি হেলান। দিয়া মুটকলমে ইতিহাস পুরাণ অবলম্বনে পুথি লেখা।” এভাবে অবশ্য আমরা পুথি লিখিতে পারি না, কেননা আমাদের বিত্ত উপাৰ্জন করিতে হয় বলিয়া আমরা আহারান্তে আপিসে যাই এবং পেন-কলমে ইংরাজি ভাষাতে ছাই পাশ কত কি লিখি। কিন্তু সরকার মহাশয় কোথা হইতে এ সত্য সংগ্ৰহ করিলেন যে পলাশী যুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে বাঙলা আলস্যের স্বৰ্গ ছিল ? যাহারা পুরাতত্ত্বের সন্ধানে ফেরেন, তাহারা ত, অদ্যাবধি এ।।