পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छउिँलङाष° । ३8७ তঁহাদের নিকট অগ্রাহ, কেননা তাহ জাতীয় নয়। কিন্তু যাহা, জাতীয় হউক, বিজাতীয় হউক, সাহিত্যই নয় তাহার বিরুদ্ধে তাহারা কোনরূপ উচ্চবাচ্য করেন না। সর্বাঙ্গ-সুন্দর সাহিত্য রচনা করিবার রহস্য ও কৌশল যদি সমালোচকদিগের জানা থাকে, তবে তাহারা স্বয়ং যে সে সাহিত্য রচনা করেন না, ইহা বড়ই দুঃখের বিষয়। কেননা বঙ্গসাহিত্যের দৈন্যই এই যে, দু-একটি প্রথম শ্রেণীর লেখক বাদ দিলে বাদবাকী তৃতীয় চতুর্থ শ্ৰেণীভুক্তও নন। ইউরোপের যে-কোন দেশের হউক বৰ্ত্তমান সাহিত্যের সহিত তুলনা করিলে এ সত্য সকলের নিকটই প্রত্যক্ষ হইয়া উঠিবে। এ দৈন্য ইচ্ছা করিলেই আমরা ঘুচাইতে পারি। সাহিত্যের দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণী অধিকার করিবার জন্য অসাধারণ প্ৰতিভা চাই না, চাই শুধু যত্ন এবং পরিশ্রম। দণ্ডী दक्लेिशांछन “ন বিদ্যুতে যদ্যপি পূৰ্ব্ববাসনা গুণানুবন্ধি প্ৰতিভানমন্ধুতং । अंडन शङ्गन फ द९४'लिङ ধ্ৰুবং করোত্ত্বেব কমপ্যনুগ্ৰহম ||” অর্থাৎ অদ্ভুত প্রতিভা এবং প্রাক্তন সংস্কারের অভাব-সত্ত্বেও আমরা যদি সযত্নে সরস্বতীর উপাসনা করি, তাহা হইলে আমরা তাহার কিঞ্চিৎ অনুগ্রহ লাভে বঞ্চিত হইব না। বাঙালী জাতির হৃদয়ে রস আছে, মস্তিষ্কে তেজ আছে, তবে যে আমাদের সাধারণ-সাহিত্য যথোচিত রস ও শক্তি বঞ্চিত তাহার জন্য দোষী আমাদের নবশিক্ষা। আমাদের ত্রুটি কোথায় এবং কিসের জন্য, সংক্ষেপে তাহার উল্লেখ করিতেছি। -