পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিভাষণ। । २88 কিন্তু মনুষ্যত্বনামক জাতিবাচক শব্দের পশ্চাতে কোনও পদার্থ BDD S BBDBD BBBkSYD DBD BBBD BD S SDD DBDD সর্বনাম লাভ করি । এই সর্বনামেরও অবশ্য সকল ভাষাতেই স্থান আছে। কিন্তু এরূপ পদের ব্যবহারের সার্থকতা সেই স্থলেই আছে, যে স্থলে মুহূর্ডের মধ্যে আমরা সর্বনামকে ভাঙ্গাইয়া বিশেষ্যে পরিণত করিতে পারি। যে সর্বনাম নামমাত্র, তাহা কেবল অদৃষ্টাৰ্থ ধ্বনিমাত্র। আমরা আমাদের BBDDDD LLLLLLLLL DD DDSDDS DBBB SBB BBB BDDD আমাদের লেখায় না আছে দেহ, না আছে প্ৰাণ । ইউরোপীয় সাহিত্যও আমরা ত্যাগ করিতে পারিব না, আমরা স্বদলবলে ইউরোপে গিয়া উপনিবেশও স্থাপন করিতে পারিব না। তবে এ রোগের ঔষধ কি ? আমার বিশ্বাস, আমাদের চতুষ্পার্শ্বস্থ reality-র প্রতি মনোযোগ দিলে আমরা এই abstraction-এর দাসত্ব হইতে মুক্ত হইব। অনুভূতিই যে সকল জ্ঞানের মূল, এই সত্যের সম্যক উপলব্ধি না হইলে আমাদের রচিত সাহিত্য অর্থহীন শব্দাড়ম্বরসার হইতে বাধ্য। আমাদের দেশেও ফুলফল গাছপালা আছে, নরনারী ধনী দরিদ্র আছে। এই সকল বস্তুবিশেষ এবং ব্যক্তিবিশেষের জ্ঞানের উপরেই যথাৰ্থ বঙ্গসাহিত্য প্রতিষ্ঠিত হইবে। এই কারণেই আমি সাহিত্যে প্ৰাদেশিকতার পক্ষপাতী। যাহারা চিরজীবন প্ৰকৃতির সহিত মুখোমুখি করিয়া বাস করেন, আশা করা যায়, তঁহাদের রচনায় এই reality-র রূপ ফুটিয়া উঠিবে। আমি খাঁটি বাঙলা ভাষার পক্ষপাতী, কারণ সে ভাষা। concrete ( বিশেষ সংজ্ঞক ) { শব্দ বহুল। এই বিশেষ জ্ঞানের অভাব্যবশত আমরা ইউরোপীয় সাহিত্য হইতে সংগৃহীত সামান্য ভাবগুলিও যথাযোগ্য প্রয়োগ