পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छलिङषः । &8S স্বতই বিক্ষিপ্ত। যাহা বিক্ষিপ্ত তাহাকেই সংক্ষিপ্ত করা সাহিত্যের কাজ। মনের ভিতর যাহা অস্পষ্ট, তাহাকে স্পষ্ট করা, যাহা নিরাকার তাহাকে সাকার করাই আর্টের ধৰ্ম্ম। : যে সকল মনােভাব গ্ৰন্থিবদ্ধ নয়, তাহাদের বিশৃঙ্খল সমষ্টি সমগ্ৰতা নয়। চিন্তাগঠনের প্রণালীকেই আমরা লজিক বলি। লজিক এবং আর্টের সম্পর্ক যে অতি ঘনিষ্ঠ, গ্ৰীকসভ্যতাই তাহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। কেননা, আর্ট এবং লজিক—এই দুই এ সভ্যতার সর্বপ্রধান কীৰ্ত্তি। প্রকরণভঙ্গতা সংস্কৃত-সাহিত্যে মহাদোষ বলিয়া গণ্য। আমাদের গদ্য রচনা যে, এ দোষে অল্পবিস্তর দুষ্ট, এ কথা অস্বীকার করিবার যে নাই। এ দোষ বৰ্জন করিবার জন্য প্ৰতিভার প্রয়োজন নাই-প্রয়োজন আছে শুধু মনোযোগের। সাহিত্যের সাধনাও একরূপ যোগাভ্যাস। ধ্যানধারণ ব্যতীত এ ক্ষেত্রেও সিদ্ধিলাভ করা যায় না। ধ্যানধারণ করা আর না করা আমাদের ইচ্ছাধীন। সুতরাং ইচ্ছা! করিলেই আমরা আমাদের রচনা দৃঢ়বন্ধ করিতে পারি। আমার বিশ্বাস, বাঙালী জাতির হৃদয়-মনের ভিতর অপূর্ব শক্তি আছে। যে শক্তি আজি আংশিকভাবে ব্যক্তি হইয়াছে, সেই প্রচ্ছন্ন শক্তির পূর্ণ অভিব্যক্তিই আমাদের সকল সাধনার বিষয় হওয়া কৰ্ত্তব্য। এই কারণেই আমি যে ভাষা ও যে ভাব, সাহিত্যের সেই শক্তির পূর্ণবিকাশের বাধাস্বরূপ মনে করি, তাহার দূরীকরণের প্রস্তাব করিতে সাহসী হইয়াছি। এ যুগে নিজের মতকে ধ্রুব সত্য বলিয়া বিশ্বাস করা কঠিন, অথচ নিজের মনে যাহা সত্য বলিয়া ধারণা, তাহ প্ৰকাশ করা ব্যতীত উপায়ান্তর নাই। সুতরাং যাহারা আমার মত গ্ৰাহ্যু করিতে অক্ষম, তঁহাদের নিকট প্রার্থনা এই যে, তাহারা যেন বিনা \&