পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান বঙ্গ-সাহিত্য। - Rd. BD D DBS DD zz DDBB BBB DBBDSS BDDS সমাজকে ঘুমিয়ে পড়তে না দেওয়াটাও একটা কম কাজ নয়। । আমরা সদলবলে সাহিত্য তৈরি করি আর না করি, সদলবলে পাঠক তৈরি কচ্ছি। : ی পূর্বে যা বলা গেল, তা অবশ্য সকলের সমান মনঃপূত হবে না, কিন্তু এ কথা আপনারা সকলেই স্বীকার করতে বাধ্য যে, যে ক্ষেত্রে লেখকের সংখ্যা অগণ্য, সে ক্ষেত্রে কোনও লেখকএরণ্ড সাহিত্য-দ্রুম স্বরূপে গ্ৰাহ হবেন না। এ বড় কম লাভের কথা নয়। হাজার অপ্রিয় হ’লেও একথা সম্পূর্ণ সত্য যে, উনবিংশ শতাব্দীতে সাহিত্যের কোন কোন এরণ্ড এমন মহাবোধিবৃক্ষত্ব লাভ করেছিলেন যে, অদ্যাবধি বঙ্গ-সাহিত্যের পুরোনো পাণ্ডারা তাদের গায়ে সিঁদুর লেপে অপরকে পূজা করতে বলেন। অমুকে কি লিখেছেন কেউ না জানলেও, তিনি যে একজন বড় লেখক তা সকলেই জানেন, এমন প্রথিত-যশ প্রবীণ সাহিত্যিকের দৃষ্টান্ত বঙ্গদেশে বিরল নয়। এ সাহিত্যের বিরুদ্ধে চুটুকিত্বের যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে, সে অপবাদের সত্যাসত্য একটু পরীক্ষা করে দেখা দরকার। ছোট গল্প, খণ্ড-কবিতা, সংক্ষিপ্ত সমালোচনা, এবং প্রক্ষিপ্ত দর্শনই এ সাহিত্যের প্রধান সম্বল। সমালোচকদের মতে এই কৃশতাই হচ্ছে। এ সাহিত্যের দুর্বলতার লক্ষণ। বিংশ শতাব্দীতে যে, কোনও নূতন মেঘনাদবধ, বৃত্ৰসংহার কিম্বা শকুন্তলা-তত্ত্ব লেখা হয় নি, এ কথা সত্য। এ যুগের কবিদের বাহু যে আজানুলম্বিত নয়, তার জন্য আমাদের লজ্জিত হবার কোনও কারণ নেই। বন্ধ এবং সংহার ছাড়া কাব্যের যে অপায়। কোনও কৰ্ত্তব্য নেই, একথা একালে মানা কঠিন। আর যদি \SტS)