পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান বঙ্গ-সাহিত্য। ২৬৫ গল্প আমরা গদ্যে বলি, কেননা আমরা আবিষ্কার করেছি যে দুনিয়ার কথা দুনিয়ার লোকের কাছে পৌছে দেবার জন্য গদ্যের পথই প্রশস্ত। সুতরাং গল্পের উত্তরোত্তর দেহ সঙ্কুচিত হওয়াটা ক্রমােন্নতির লক্ষণ নয়। ইউরোপে আজও গড়ে এমন এমন লেখা হয়ে থাকে, যা আকারে মহাভারতের সমান না হ’লেও, রামায়ণের তুল্যমূল্য। উনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপের সর্বশ্রেষ্ঠ নভেলিষ্ট Tolstoy-র এক একখানি নভেল 4क একখানি। মহাকাব্য বিশেষ। ও-দেশের গদ্য-সাহিত্যে যেমন একদিকে ব্যাস বাল্মীকি আছে, অপর দিকে তেমনি অমরু ভঙুহরিরুও অভাব নেই। যে ক্ষেত্রে হাজার হাজার পাতার দুচারটি 低 জন্মলাভ করছে, সেই ক্ষেত্রেই আবার দু পাতা চার পাতার হাজার হাজার গল্প জন্মলাভ করছে—এতেই পরিচয় দেয় যে, ইউরোপের মনের ক্ষেত্ৰ কত সরস, কত সতেজ, কত উর্বর। সুতরাং আমাদের নব গদ্য-সাহিত্যে যে ছোট গল্প ছাড়া আর কিছু গজায় না, তাতে অবশ্য এ সাহিত্যের দৈন্যেরই পরিচয় । দেয়। কিন্তু པ། দীনতা ইউরোপীয় সাহিত্যের তুলনায়। যতটা ধরা পড়ে, উনবিংশ শতাব্দীর বঙ্গ-সাহিত্যের তুলনায় । ততটা নয়। বঙ্কিমচন্দ্র এবং রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিলে, १ङ, যুগের গল্প-সাহিত্যে তারক গাঙ্গুলির “স্বৰ্ণলতা” ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। এ যুগের গল্প-লেখকেরা যে সাধারণত ছোট গল্প রচনার পক্ষপাতী। তার কারণ এই যে, আমাদের জীবন ও মন এতই বৈচিত্র্যহীন, এবং সে মনে ও সে । জীবনে ঘটনা এত অল্পই ঘটে, এবং যা ঘটে তাও এতটা। বিশেষত্বহীন যে, তার থেকে কোনও বিরাটকাব্যের উপাদান । ংগ্রহ করা যায় না। এ অবস্থায় Mg (”F Anna