পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo: নানা-কথা। ... . S BDBBDDSBBLDBDB BBDuDSDuDBBDDBB DDLBDBS DBD DDD “শক্যতেই কস্তবাচকস্ত বাচকবস্তাবকৰ্ত্তম, ন বহুনামিতি" ( কাব্যালঙ্কার সূত্রানি) অর্থাৎ এক কথায় যেখানে পুরো মানে । পাওয়া যায়। সেখানে অনেক কথা ব্যবহার করা অনুচিত। এস্থলে “বাহুল্য” দোষ ঘটেছে। তারপরে পাই- . “অতি নিবিড়বৰ্ণ কুঞ্চিতালিক কেশসকল ভ্ৰযুগে ৰূপোলে গণ্ডে অংসে উরসে আসিয়া পড়িয়াছে।” নিবিড়বৰ্ণ বলতে বর্ণের শুধু গাঢ়তার পরিচয় দেওয়া হয় DD DuB DB D DD DB DDB DBDSS t K DDB BDBD D DBDS কালো কি সোনালি পাঠকের মনে এ সন্দেহের উদয় হওয়া আশ্চৰ্য্য নয়। অথচ লেখকের নিশ্চয় উদ্দেশ্য ছিল পাঠককে এই কথা জানানো যে, সে রং কালে । সুতরাং এস্থলে “সংশয়” দোষ ঘটেছে। “কুঞ্চিতালিক কেশসকল” একেবারেই অগ্ৰাহ। অলক শব্দের অর্থ কুঞ্চিত কেশ। “কুঞ্চিত কুঞ্চিত কেশ কেশ” এরূপ পদযোজনা কোন ভাষাতেই চলে না। বাঙলায় অবশ্য চুল কেঁকড়া কেঁকড়া হয়। কিন্তু সংস্কৃতে কেশ কুঞ্চিত কুঞ্চিত হয় না। অলঙ্কার-শাস্ত্রে এরূপ প্রয়োগ নিষেধ। বামনাচাৰ্য বলেন যে “নৈক পদং দ্বি প্রযোজ্যং প্ৰায়েন”-উদাহরণস্বরূপে তিনি দেখিয়েছেন যে—“পয়োদ পয়োদা” অচল। দ্বিত্ব হচ্ছে বাঙলা ভাষার প্রাণ, কিন্তু সংস্কৃত ভাষার দেহভার। অশিষ্ট পদের স্পর্শে সংস্কৃত ভাষার গা জ্বর জ্বর করে না ; তার গাত্রদাহ। উপস্থিত হয়। এস্থলে “একাৰ্থ” “বাহুল্য” প্রভৃতি নানা দোষ ঘটেছে।