পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ტას» , नन-कथे । পণ্ডিতেরা অসাধারণ পরিশ্রম করে’ যা’ প্ৰস্তুত করেন তা’ অধিকাংশ সময়ে বিদ্যার গ্যাস বই আর কিছুই নয়। অপর পক্ষে ফরাসী-পণ্ডিতেরা মানবজাতির চোখের সুমুখে যা ধয়ে দেন, সে হচ্ছে গ্যাসের আলো । বৰ্ত্তমান ইউরোপের সর্বপ্ৰধান দার্শনিক Bergson-এর গ্ৰন্থসকলের সঙ্গে যার সাক্ষাৎ পরিচয় আছে, তিনিই জানেন যে, সে সকল গ্ৰন্থ কাব্য হিসাবেও সাহিত্যের সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করতে পারে। Bergsonএর দর্শন অতি কঠিন, কিন্তু তার রচনা যেমন প্ৰাঞ্জল তেমনি উজ্জ্বল। দার্শনিক জগতের এই অদ্বিতীয় শিল্পীর হাতে গদ্য রচনা অপূর্ব চমৎকারিত্ব লাভ করেছে। মণিকার যেমন রত্বের সঙ্গে রত্বের যোজনা করেন, Bergson-ও তেমনি পদের সঙ্গে পদের যোজনা করেন। চিন্তারাজ্যের এই ঐন্দ্ৰজালিকের লেখনীর মুখে বশীকরণ মন্ত্র আছে। এই স্বচ্ছতা, এই উজ্জ্বলতার বলেই ফরাসী-সাহিত্য যুগে যুগে ইউরোপের অপরাপর সাহিত্যের উপর নিজের প্রভাব বিস্তার করেছে। আলোর ধৰ্ম্ম এই যে, তা দিগদিগন্তে ব্যাপ্ত হ’য়ে পড়ে এবং সকল দেশকেই নিজের কিরণে উস্তাসিত করে” তোলে। এই কারণেই আমি পূর্বে বলেছি, ফরাসী-সভ্যতার নির্বাণের সঙ্গে সঙ্গেই মানবের মনোজগতের আলো নিবে যাবে। ( R ) এ স্থলে যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে, “ফরাসী-সভ্যতার অধঃপতন হ’লেও তার পূর্ব কীৰ্ত্তি সবই বিশ্বমানবের জন্য সঞ্চিত থাকবে; অতএব সে সভ্যতার বিনাশে পৃথিবীর এমন কি ক্ষতি হবে” ? এ প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব, “এতে