পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩৪ , नॉन-कर्षौ । প্রতি তিনি চিরজীবন ধরে’ এমন তীক্ষ্ম, এমন অজস্র বাণ বর্ষণ করেছিলেন যে, ফরাসী-সাহিত্য হতে সকল প্রকার অত্যুক্তি ও অতিবাদ, কষ্টকল্পনা ও অবােধ পণ্ডিত্য চিরদিনের জন্য নির্বাসিত হয়েছে । রচনাকে শব্দাড়ম্বরে গৌরবান্বিত, শব্দালঙ্কারে ঐশ্বৰ্য্যবান, পারিভাষিক শব্দ প্রয়োগে মৰ্য্যাদাপন্ন, এবং বাচালতায় সমৃদ্ধিশালী করবার লোভ সম্বরণ করা যে কি কঠিন, তা” লেখক মাত্রই জানেন! ফরাসী লেখকেরা এই সংযম নিজের অভ্যাস করেন, এবং অপরকে অভ্যাস করতে শিক্ষা দেন। পূৰ্বোক্ত ফরাসী আলিঙ্কারিক কর্তৃক প্ৰদৰ্শিত সাহিত্যের ত্যাগমাগ্য ফরাসী লেখকেরা যে কেন অবলম্বন করেছিলেন, তার একটু বিশেষ <st{° o (2 || Pascal, La Bruyère, Bossuet, Féublon, Racine, Molliere প্রভৃতি সে যুগের ফুন্সের প্রথম শ্রেণীর গদ্যপদ্য লেখক মাত্রেই Malherbe কর্তৃক আবিষ্কৃত এবং Beaulieu কর্তৃক পরিস্কৃত রচনার এই নব পথ অবলম্বন করেই সাহিত্য-জগতে অমর হয়েছেন। এরা যে বিনা। আপত্তিতে এই নব আলঙ্কারিক মত গ্ৰাহ করেছিলেন, তার কারণ র্তারা যে সকল মনোভাব প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন, রচনার এই নবপদ্ধতি সে মনোভাব প্রকাশের পক্ষে সম্পূর্ণ অনুকুল ছিল। সে যুগের ফরাসী মনোভাবের পূর্ণ পরিচয় Descartes-এর দর্শনে পাওয়া যায়। সেই দর্শনে ফরাসী প্রতিভা তার আত্মজ্ঞান লাভ করে। আপনারা অনেকেই জানেন যে, যে আইডিয়া সুস্পষ্ট, পরিছিন্ন ও সুনির্দিষ্ট, তাই হচ্ছে ডেকাটের মতে সত্যের পরিচায়ক। অর্থাৎ যে জ্ঞান আমাদের জাগ্ৰত বুদ্ধির আয়ত্ত্বাধীন, এবং যা ন্যায়শাস্ত্ৰ-বিরুদ্ধ