পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७० . नांन-क्षथ । সহজেই অভ্যাস করতে পারি। আমার প্রথম কথাও যা, শেষ কথাও তাই। আর্টকে ভোক্তার দিক থেকে দেখা, দুরবিনের উণ্টে দিক থেকে দেখার তুল্য-দ্ৰষ্টব্য পদার্থ আরও দূরে চলে যায়। কৰ্ত্তার দিক থেকে দেখাটাই ঠিক দেখা। আমরা নিজে যা রচনা করেছি, তারই মৰ্ম্ম, তারই মৰ্যাদা আমরা প্ৰকৃষ্টরূপে বুঝতে পারি। আমাদের স্বদেশের কীৰ্ত্তি থেকেই আমাদের স্বজাতির কৃতিত্বের পরিচয় পাই। আমরা জাতীয় আত্মসম্মানের চর্চা করব বলে চীৎকার করছি, কিন্তু জাতীয় কৃতিত্বের যদি জ্ঞান না থাকে, তবে জাতীয় আত্মসম্মান কিসের উপর দাড় করাব, বোঝা কঠিন। আর্ট যে শ্রেণীরই হোক, তার চর্চায় আমাদের জাতীয় কর্তৃত্ব-বুদ্ধি বিকশিত হয়ে উঠবে। এই পরম লাভ । সুলভ এবং সহজপ্রাপ্য বিলাতি জিনিষের পক্ষে আবশ্যকতার দোহাই চলতে পারে, কিন্তু আর্টের দোহাই একেবারেই চলে না। বিলাতি-ছিটগ্ৰস্ত না হ’লে বিলাতি-ছিটিভক্ত হওয়া যায় না। আর যিনি আদর ক'রে দুয়ারে বিলাতি পর্দা বোলান তঁর পর্দানশীন হওয়া উচিত। ( ( ) সভ্যর্জাতির পক্ষে দেশের কথা অনেকটা বেশের কথা। পরিচ্ছদের ঐক্য সামাজিক ঐক্যের লক্ষণও বটে, কারণও বটে। আমরা প্ৰতিবাসীকে প্রতিবেশী বলেই জানি। হিন্দুরা সমাজের সঙ্গে সঙ্গে বস্ত্ৰ ত্যাগ করেন। সন্ন্যাসের প্রথম দীক্ষা ডোরকেীপীন ধারণ। আমাদেরও বিদেশীয়তার প্রথম সংস্কার কোট পেণ্টলুন ধারণ। বিলেতের বেশ যে ভারতবাসীর পক্ষে সকল