পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 नांनी-कथा । । জীবনটা একটা রহস্য বলেই মানুষের বেঁচে সুখ । কিন্তু । তাই বলে এ রহস্যের মৰ্ম্ম উদঘাটন করবার চেষ্টা যে পাগলামি নয় তার প্রমাণ, মানুষ যুগে যুগে এ চেষ্টা করে এসেছে, এবং শতবার বিফল হয়েও অদ্যাবধি সে চেষ্টা থেকে বিরত হয় নি । পৃথিবীর মধ্যে যা সব চেয়ে বড় জিনিস, তা জানিবার ও বােঝবার প্ৰবৃত্তি মানুষের মন থেকে যেদিন চলে যাবে, সেদিন মানুষ আবার পশুত্ব লাভ করবে। জীবনের যাহয় একটা অর্থ স্থির । করে না নিলে, মানুষে জীবন-যাপন করতেই পারে না। এবং এ পদার্থের কে কি অর্থ করেন, তার উপর তার জীবনের মূল্য নির্ভর করে। এ কথা ব্যক্তির পক্ষেও যেমন সীতা, জাতির পক্ষেও তেমনি সত্য। দর্শন বিজ্ঞান জীবনের ঠিক অর্থ বার করতে পারুক আর না পারুক, এ সম্বন্ধে অনেক ভুল বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে। এও বড় কম লাভের কথা নয়। সত্য না জানলেও মানুষের তেমন ক্ষতি নেই-মিথ্যাকে সত্য বলে ভুল করাই সকল সর্বনাশের মূল। সুতরাং প্রবন্ধলেখক এ আলোচনার পুনরুত্থাপন করে সৎসাহসেরই পরিচয় দিয়েছেন । । ( R ) সতীশ বাবু তার প্রবন্ধে দেখিয়েছেন-এ বিষয়ে যে নানা মুনির নানা মত আছে শুধু তাই নয়, একই রকমের মত নানা যুগে নানা আকারে দেখা দেয়। দর্শন বিজ্ঞানের কাছে জীবনের সমস্যাটা কি, সেইটে বুঝলে-সে সমস্যার মীমাংসাটাও যে মোটামুটি দুই শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়ে, তাতে আশ্চৰ্য্য হবার কিছু নেই। জীবন পদার্থটিকে আমরা সকলেই চিনি,