পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, J¢ኴ” नान-कथा । আমার পূর্ববৰ্ত্ত বক্তা বলেছেন যে ইউরোপ যা প্রমাণ করতে পারে নি, বাঙলা তা করেছে; অর্থাৎ তার মতে আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র বসু হাতেকলমে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, জড়ে ও জীবে কোনও প্রভেদ নেই। আমার বিশ্বাস, আমাদের দেশের সর্বােগ্রগণ্য বিজ্ঞানাচাৰ্য্য এ কথা কোথায়ও বলেন নি যে, জড়ে ও জীবে কোনও প্ৰভেদ নেই। আমার ধারণা, তিনি প্ৰাণের উৎপত্তি নয়, তার অভিব্যক্তি নির্ণয় করতে চেষ্টা করেছেন। কথাটা আর একটু পরিস্কার করা যাক। মানুষমাত্রই জানে যে, যেমন মানুষের ও পশুর প্রাণ আছে, তেমনি উদ্ভিদেরও প্ৰাণ আছে। এমন কি, ছোট ছেলেরাও জানে যে, গাছপালা জন্মায় ও মরে। সুতরাং মানুষ পশু ও উদ্ভিদ যে গুণে সমধৰ্ম্মীসেই গুণের পরিচয় নেবার চেষ্টা বহুকাল থেকে চলে আসছে। ইতিপূর্বে OffĀTS &C:f7 GTI, assimilation 443 reproduction—এই দুই গুণে তিন শ্রেণীর প্রাণীই সমধৰ্ম্মী। অর্থাৎ এতদিন আত্মরক্ষা ও বংশরক্ষার প্রবৃত্তি ও শক্তিই ছিল প্ৰাণের least Common Multiple- 4-tit(GIS 3 (Gis feats যাকে বলে “লসাগু”। ܒ আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্ৰ দেখিয়ে দিয়েছেন যে, এ দুই ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে প্রাণীমাত্রেই সমধৰ্ম্মী। তিনি যে সত্যের আবিষ্কার করেছেন সে হচ্ছে এই যে, প্রাণীমাত্রেই একই ব্যথার বাগী। উদ্ভিদের শিরায় উপশিরায় বিদ্যুৎ সঞ্চার করে দিলে, ও-বস্তু আমাদের মতই সাড়া দেয়, অর্থাৎ তার দেহে স্বেদ কম্প মুচ্ছ। বেপথু প্রভৃতি সাত্ত্বিক ভাবের লক্ষণ সব ফুটে ওঠে। এক কথায়, আচাৰ্য্য বস্তু উদ্ভিদ জগতেও হৃদয়ের আবিষ্কার <68(छम,— পূৰ্বাচাৰ্য্যেরা উদর ও মিথুনত্বের সন্ধান নিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন।