পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাণের কথা । ७१ বসু মহাশয় প্রাণের “লসাগু”তে সন্তুষ্ট না থেকে, তার “গসাগু।” offs Greatest Common Measure-এর আবিষ্কারে ব্ৰতী। হয়েছেন। যখন উদ্ভিদের হৃদয় আবিষ্কৃত হয়েছে, তখন সম্ভবত कान उाद्र भठिक९ आदिक्नङ शत। किन्नु ठाङ उछ ७ জীবের ভেদ নষ্ট হবে না, কেননা জড়পদার্থের যখন উদরই নেই, তখন তার অন্তরে সদয় মস্তিষ্কাদি থাকবার কোনই সম্ভাবনা নেই। যে বস্তুর দেহে অন্নময় কোষ নেই, তার অন্তরে মনোময় কোষের দর্শনলাভ তারাই করতে পারেন, যাদের চোখে আকাশকুসুম ধরা পড়ে। ( 8 ) আমি বৈজ্ঞানিক ও নই, দার্শনিকও নাই; সুতরাং এতক্ষণ যে অনধিকার চৰ্চা করলুম, তার ভিতর চাই কি কিছু সার নাও থাকতে পারে। কিন্তু জীবন জিনিসটে দার্শনিক বৈজ্ঞানিকের একচেট নয়, ও-বস্তু আমাদের দেহেও আছে। সুতরাং প্রাণের সমস্যার মীমাংসা আমাদেরও করতে হবে,--আর কিছুর জন্য না হোক, শুধু প্ৰাণধারণ করবার জন্য। আমাদের পক্ষে বিশেষ জ্ঞাতব্য বিষয় হচ্চে প্ৰাণেৰ মূল্য, সুতরাং আমাদের সমস্যা হচ্চে বৈজ্ঞানিক দার্শনিকের সমস্যার ঠিক বিপরীত। প্রাণীর সঙ্গে প্রাণীর অভেদ জ্ঞান নয়, ভেদজ্ঞানের উপরেই আমাদের মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠিত। কেননা যে গুণে প্রাণী-জগতে মানুষ অসামান্যসেই গুণেই সে মানুষ । উদ্ভিদ ও পশুর সঙ্গে কোন কোন গুণে ও লক্ষণে আমরা সমধম্মী, সে জ্ঞানের সাহায্যে আমরা মানবজীবনের মূল্য