পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেল, মুন, লক্ড়ি। : ফলানো। আমাদের অভিপ্ৰায় লজ্জা নিবারণ করা, ওদের অভিপ্রায় শীত নিবারণ করা; তাই আমরা যেখানে ঢ়িলে দিই, ওরা সেখানে কিসে। ইংরাজরা মধ্যে মধ্যে রমণীর বেশকে কবিতার সঙ্গে তুলনা করেন। ইংরাজ রমণীর বেশের ; ভিতর একটা ছন্দ আছে, তার গতি বিলাসিনীদের দেহভঙ্গী অনুসরণ করে ; সে ছন্দের ঝোঁক উন্নত অবনত অংশের উপরই | পড়ে। লজ্জা আমাদের দেশে নারীর হৃদয় অবলম্বন করে। থাকে, ওদের দেশে চরণে শরণ গ্ৰহণ করে। আমাদের মহা সৌভাগ্য এই যে, ভারত-রমণী স্বদেশী লজ্জা পরিহার করে বিদেশী সজ্জা গ্ৰহণ করেন নি। স্ত্রী-জাতি সর্বত্রই স্থিতিশীল, আমরা পুরুষরা গতিশীল বলেই দুৰ্গতি বিশেষরূপে আমাদেরই হয়েছে। যদি ইংরাজি বেশ উপযোগিতা, সৌন্দৰ্য্য ইত্যাদি সকল বিষয়েই স্বদেশী বেশের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হ’ত, তাহ’লেও বিদেশী বেশ অবলম্বন অনুমোদন করা যেত না । ইংরাজি বেশের আর একটি বিশেষ দোষ এই যে, ও পদার্থে দেহ মণ্ডিত করুবামাত্ৰই, অধিকাংশ লোকের মস্তিষ্কের গোলযোগ উপস্থিত । হয়। অতিশয় বুদ্ধিমান লোকেও বেশের পক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে অতিশয় নিৰ্বোধের মত তর্ক করেন। এ বিষয়ে যে-সকল যুক্তি সচরাচর শোনা যায়, সে-সকল এতই অকিঞ্চিৎকর যে বিচারযোগ্য নয়। র্যারা বেশ পরিবর্তন করেন, তঁরা তর্কের দ্বারা; } যুক্তির দ্বারা নিজেরাই সাফাই হ’তে চান,-দ্য-অপরকে ভজাতে চান না। তঁদের অভিপ্ৰায়, ফাঁকি দিয়ে নিজেরা সভ্য হওয়া, স্বজাতিকে সভ্য করা নয়। তঁদের বিশ্বাস, এ সমাজের, এ |ांड्र्द्रि किडू श्’बांब नश्,-श्ऊब्रां९ नभांखा शंङ्गारे उंद्र भाऊ একমাত্র মুক্তির উপায়। এ মনোভাব যে স্বদেশীয়তাৱ কত । . ၊ ့် ` .့်