পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 নানা-কথা। " দূর অনুকূল, তা সকলেই বুঝতে পারেন। কেবলমাত্র সমাজত্যাগে কি করে মুক্তিলাভ হতে পারে? এ প্রশ্ন যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন, তার উত্তর হচ্ছে, এরা যে “চিরকালই স্বদেশী সমাজের অন্তস্থ বর্ণ হয়ে থাকবেন” এরূপ এদের অভিপ্ৰায় নয় ; এদের চরম লক্ষ্য হচ্ছে, ইংরাজি সমাজে লীন হয়ে যাওয়া। এদের আশা ছিল যে, ক্ৰমে গঙ্গাযমুনার মত সাদায়-কালোয় একদিন মিশে যাবে। কিন্তু আজ বোধহয় এদের সকলেই বুঝতে পেরেছেন যে, সে আশা মিছে। আমরা সকলেই এ সত্যটি আবিষ্কার করেছি যে, প্ৰয়াগ পৌছবার পূর্বেই আমাদের কাশিপ্রাপ্তি হবে । ( 9 ) আহার সম্বন্ধে বেশি কিছু বলবার দরকার নেই। অপরের বেশ যত সহজে অবলম্বন করা যায়, অপরের খাদ্য তত শীঘ্র জীর্ণ করা যায় না। বিদেশীয় সভ্যতা আমাদের পিঠে যত সয়, পেটে তত সয় না। আমাদের ‘সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা” দেশে আহাৰ্য দ্রব্য বিদেশ থেকে আমদানি করুবার কোনই দরকার নেই। তবে যদি কেহ এমন থাকেন যে, বিদেশী মাছ-তরকারি না খেলে তার প্রাণ বঁাচে না, তাহ’লে তঁার প্রাণ বাঁচাবার কোন দরকার নেই ; আর যদি বেঁচে থাকাটা নিতান্ত দরকার মনে করেন, তাহলে স্বদেশ ত্যাগ করে বিদেশে বাস করাটাই তার পক্ষে শ্রেয়। ] আহার সম্বন্ধে বিধিনিষেধ-সম্বলিত পঞ্জিকশাস্ত্ৰকে গঞ্জিকাশাস্ত্র বলে গণ্য করে” অমান্য করলেই যে তৎপরিবৰ্ত্তে কোলনারের