পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

அ ୩୩-୪୩ । ভাষা-ই ঘরাও কথার বিশেষ উপযোগী মনে করে’ই লেখক, লোকে যে ভাবে গল্প বলে, সেই ভাবেই তার “বাল্যকথা।” বলেছেন। ৬/কালি সিংহ যে “হুতোম প্যাচার নক্সার” ভাষায় র্তার মহাভারত লেখেন নি, এবং মহাভারতের ভাষায় যে “হুতোম প্যাচার নক্স” লেখেন নি, ত’তে তিনি কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেন নি। সে যাই হােক, শ্ৰীযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পক্ষ হয়ে কোনরূপ ওকালতি করা আমার অভিপ্রায় নয়, কারণ এ বিষয়ে বাঙ্গলার সাহিত্য-আদালতে তঁর কোনরূপ জবাবদিহি করুবার দরকারই নেই। আমি এবং “ঢাকা রিভিউ”-এর সম্পাদক যে কালে, পূর্ববঙ্গের নয়। কিন্তু পূৰ্বজন্মের ভাষায় বাক্যালাপ করুতুম, সেই तृड् অতীত কালেই, ঠাকুর মহাশয় “সুযোগ্য লেখক” বলে’ বাঙ্গলাদেশে খ্যাতি এবং প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলেন। । যে ধরণের লেখা “ঢাকা রিভিউ”-এর নিতান্ত অপছন্দ, সেই ধরণের লেখারই আমি পক্ষপাতী। আমাদের বাঙ্গালী জাতির একটা বদনাম আছে, যে আমাদের কাজে ও কথায় মিল নেই। এ অপবাদ কতদূর সত্য তা আমি বলতে পারি নে। তবে এ কথা নিশ্চিত যে আমাদের কথায় ও লেখায় যত অধিক অমিল হয়, তত আমরা সেটি অহঙ্কারের এবং গৌরবের বিষয় বলে’ মনে করি। বাঙ্গালী লেখকদের কৃপায়, বাঙ্গলা ভাষায় চক্ষুকর্ণের বিবাদ ক্রমেই বেড়ে যাচ্চে। সেই বিবাদ ভঞ্জন করবার চেষ্টাটা আমি উচিত কাৰ্য্য বলে মনে করি। সেই কারণেই এদেশের বিদ্যাদিগগজের “স্কুল হস্তাবলেপ” হ’তে মাতৃভাষাকে উদ্ধার করুবার জন্য আমরা সাহিত্যকে সেই মুক্তপথ অবলম্বন করতে বলি, যে পথের দিকে আমাদের সিদ্ধাঙ্গনারা উৎসুক