পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গভাষা বনাম বাবু বাঙ্গলা । 84 বিজ্ঞান ছেড়ে দিয়ে সহজ জ্ঞানেতেই জানা যায়, উক্ত দুই ভাষার চালের পার্থক্য ঢের। সংস্কৃতের হচ্ছে “করিরাজ বিনিন্দিত মন্দগতি”, কিন্তু বাঙ্গলা, গুণী লেখকের হাতে পড়লে, দুলকি, কদম, ছাৰ্ব্বতক, সব চালেই চলে। শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যৌবনকালে লিখিত এবং সদ্যপ্রকাশিত “ছিন্নপত্ৰ” পড়লে সকলেই দেখতে পাবেন, যে সাহস করে একবার রাশ আলগা দিতে পারলে, নিপুণ এবং শক্তিমান লেখকের হাতে বাঙ্গলা গদ্য কি বিচিত্ৰ ভঙ্গীতে ও কি বিদ্যুৎ বেগে চলতে পারে। আমরা “সাহিত্যিক” ভাবে কথা কইনে বলে, আমাদের মুখের কথায় বাঙ্গলা ভাষার সেই সহজ ভঙ্গীটি রক্ষিত হয়। কিন্তু লিখতে বসলেই আমরা তার এমন একটা কৃত্ৰিম গড়ন দেবার চেষ্টা পাই, যাতে তার চলৎশক্তি রহিত হয়ে আসে। ভাষার এই আড়ষ্ট ভাবটাই সাধুতার একটা লক্ষণ বলে’ পরিচিত। তাই বাঙ্গলা সাহিত্যে সাধারণ লেখকের গদ্য গদাই-লস্করি ভাবে চলে, এবং কুলেখকদের হাতের লেখা একটা জড়পদার্থের স্তুপমাত্র হয়ে থাকে। এই জড়তার বন্ধন থেকে মুক্ত হবার একমাত্র উপায় হচ্ছে, লেখাতেও মৌখিক ভাষার সহজ ভঙ্গীটি রক্ষা করা । কিন্তু যেই আমরা সে কাজ করি আমনি আমাদের বিরুদ্ধে সাধুভাষার কালের জল ঘোলা করে দেবার, এবং বাঙ্গলা সাহিত্যের বাড়াভাতে “প্রাদেশিক শব্দের” ছাই ঢেলে দেবার, অভিযোগ উপস্থিত হয়। उांभांभाऊब्रशे उांद्र छांडूऊि ७ १ठंनद्ध भाऊ, ४ाक्छे बिभिषे প্রকৃতি আছে, এবং প্রকৃতিস্থ থাকার উপরই তার শক্তি এবং সৌন্দৰ্য নির্ভর করে। বঙ্গভাষার সেই প্রকৃতির বিশেষ জ্ঞানের অভাব্যবশতই আমরা সে ভাষাকে সংস্কৃত করতে গিয়ে বিকৃত ।