পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। भiन-रथी । وانا বাংলা আমরা শিখতে না পারি,কিন্তু সংস্কৃত ভুলে যাইনে। উক্ত বই দুখানির রচয়িতা ৬/মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কারের আমি বিশেষ পক্ষপাতী। কেননা তিনি সুপণ্ডিত এবং সুরসিক। একাধারে এই উভয় গুণ আজকালকার লেখকদের মধ্যে নিতান্ত দুর্লভ হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কারের গল্প বলবার ক্ষমতা অসাধারণ। অল্প কথায় একটি গল্প কি করে সর্বাঙ্গসুন্দর করে বলতে হয়, তার সন্ধান তিনি জানতেন। “পুরুষ পরীক্ষা”র ভাষা ললিতবাবুযে কি কারণে “শব্দাড়ম্বরময় জড়িম-জড়িত ভাষা” মনে করেন, তা আমি বুঝতে পারুলুম না,-কারণ সে ভাষা নদীর জলের ন্যায় স্বচ্ছ এবং স্রোতস্বতী । “প্ৰবোধ চন্দ্ৰিকার” পূৰ্বভাগের ভাষা কঠিন হলেও শুষ্ক নয়। যিনি তাতে দাঁত বসাতে পারবেন, তিনিই তার রসাস্বাদ করতে পারবেন। আমাদের নব্য লেখকেরা যদি মনোযোগ দিয়ে “প্ৰবোধ-চিন্দ্ৰিক।” পাঠ করেন, তাহ’লে রচনা সম্বন্ধে অনেক সদুপদেশ লাভ করতে পারবেন। যথা,-“ঘট'কে “কম্বুগ্ৰীব বৃকোদার” বলে”। বৰ্ণনা করলে, তা আর্ট হয় না, এবং নর ও বিষাণ। এই দুটি বাক্যকে একত্র করলে “নর বিষাণ”রপ পদ রচিত হলেও, তার অনুরূপ মানুষের মাথায় শিং বেরোয় না ; যদি কারও মাথায় বেরোয় ত সে পদকৰ্ত্তার । । . রাজা রামমোহন রায় এবং মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কারের লেখার দোষধর সহজ, কিন্তু আমরা যেন এ কথা ভুলে না। যাই যে, এরাই হচ্ছেন বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম গদ্যলেখক। বাঙ্গলগদ্যের রচনা-পদ্ধতি এদেরই উদ্ভাবন করতে হয়েছিল। তঁদের মুক্তিল হয়েছিল শব্দ নিয়ে নয়, অন্বয় নিয়ে। রাজা রামমোহন রায়, তঁর রচনা পড়তে হলে পাঠককে কি উপায়ে তার অন্ধয়।