পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

||| ۹ || t برای নেওয়া ছাড়া আমাদের উপায়ান্তর নেই। সুতরাং “আলালী” ভাষাকে আমাদের শোধন করে নিতে হবে। বাবু বাংলার কোনরূপ সংস্কার করা অসম্ভব, কারণ সে ভাষা হচ্ছে পণ্ডিতী বাংলার বিকারমাত্র। দুধ একবার ছিড়ে গেলে, তা আর কোন কাজে লাগে না। ললিতবাবুর মতে পণ্ডিতি বাংলার “কঠোর অস্থিপঞ্জর পাঠ্য-পুস্তক-নিৰ্বাচন সমিতির বায়ুশূন্য টিনের কৌটায় রক্ষিতা।” আমি বলি তা নয়। স্কুলপাঠ্যপুস্তকরূপ টিনের কোটায় যা রক্ষিত হয়ে থাকে, তা শুধু সাধু ভাষারূপ নটানো গরুর দুধ । সুতরাং সেই টিনের গরুর দুধ । খেয়ে যারা বড় হয়, মাতৃদুগ্ধ যে তাদের মুখরোচক হয় না, তা আর আশ্চর্য্যের বিষয় নয়। ( 8 ) আমাদের রচনায় কতদূর পর্য্যন্ত আরবী, পারসী, ইংরাজী প্রভৃতি বিদেশী শব্দের ব্যবহার সঙ্গত, সে বিষয়ে ললিতবাবু এই সিদ্ধান্ত করেছেন যে, “এক সময়ে বাঙ্গলা ভাষায় আরবী পারসী শব্দের প্রবেশ ঘটিয়াছে, এবং আজকাল ইংরাজী শব্দের প্রবেশ ঘটিতেছে। ইহা প্রাকৃতিক নিয়ম। সকল ভাষাতেই যাহা ঘটিয়াছে বাঙ্গলা ভাষাতেও তােহাঁই ঘটিয়াছে ও ঘটিতেছে।” এক কথায় প্রাকৃতিক নিয়মের বিপক্ষতাচরণ করায় কোন লাভ নেই। যে সকল বিদেশী শব্দ বেমালুম বঙ্গভাষার অন্তৰ্ভুত হয়ে গেছে, সে সকল শব্দ অবশ্য কথার মত লেখাতেও নিত্য ব্যব शर्ष! श्७म्न छैफ्रिङ । কোন শব্দের উৎপত্তি বিচার করে, যে লেখক সেটিকে জোর কুরে সাহিত্য হতে বহিস্কৃত করে দেবেন, তিনিই ঠক্‌বেন,