পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*a ,哥怖则-哥侧| জন্য বাঙ্গালী-সমাজের এই ধনুর্ধরেরা সুমুখে ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিত-রূপ শিখণ্ডি খাড়া করে তার পশ্চাৎ থেকে যে বাণ নিক্ষেপ করেছেন তাতে সে সম্প্রদায় যে আজ জুতো পায়ে দিয়ে শরশয্যায় শয়ান হয়ে, “জল” “জল” বলে চীৎকার করছেন তার ত কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায় না। প্রমাণ শুধু এরই পাওয়া যায় যে, এদেশে আজও এমন এক শ্রেণীর ভদ্র সন্তান আছেন, র্যারা রীতিকে যতই নিরর্থক হোক নীতির অপেক্ষা, মিথ্যাকে যতই স্পষ্ট হোক সত্যের অপেক্ষা, আচারকে যতই কদৰ্য্য হোক DBDBBDBD DBBB DBS DDD DDD DDSBB BBBB DS এর সভা করে’ এই মতের প্রতিষ্ঠা ও প্রচার করতে চান যে, সামাজিক কপটতাই হচ্ছে সামাজিক ধৰ্ম্ম, অতএব আচরনীয়। অবশ্য লোকে বলে যে “ডুবে জল খেলে শিবের বাবাও টের পান না” কিন্তু ও কাজ করলে শিবের বাবা টের না পেতে পারেন। কিন্তু শিব যে পান না, এ কথা কোন শাস্ত্ৰেই বলে না ! যে যুগে সমগ্ৰ শিক্ষিত সমাজের সকল চিন্তা, সকল যত্ন হচ্ছে জাতি গঠনের দিকে, সেই যুগের সেই সমাজের জন কয়েকের চেষ্টা যে শুধু জাত মারবার দিকে, এর চাইতে ক্ষোভের বিষয় আর কি হতে পারে! অবশ্য এদের ছোড়া সংস্কৃত অক্ষরাঙ্কিত কাগজের গুলির ঘায়ে, কেউ আর বাসায় গিয়ে মরে থাকবেন। না। কিন্তু সেই কারণেই ব্যাপারটি নিতান্ত হাস্যকর। তঁদের হাতেই হিন্দুসমাজের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, যাদের চেষ্টা হচ্ছে সমগ্ৰ হিন্দুসমাজকে একটি একান্নবৰ্ত্তী পরিবার করে তোলা। আর র্যারা ছোয়ানাড়ার বিচার নিয়েই আছেন, যাদের চেষ্টা হচ্ছে পরস্পরের সঙ্গে চুলো পৃথক করে নেওয়া, তাদের হাতে পড়লে সমাজ চুলোয়ই যাবে।