পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांश-भशगऊ । ° ( ७ ) । बांश1 भशनडांद्र ७३ उष्क्रबां(5ाल गज़1 अभि विभक्ष লজ্জিত, কারণ আমি বাঙ্গালী। এই সব ছেলেখেলা আর যারই পক্ষে শোভা পাক না কেন, বাঙ্গালীর পক্ষে শোভা পায় না। কারণ এ কথা সর্ববাদী-সম্মত যে, বাঙ্গালী ভারতবর্ষে নূতন প্ৰাণ এনেছে, সমগ্ৰ ভারতবাসীকে নতুন সুর ধরিয়ে দিয়েছে। ইউরোপের কাব্য, ইউরোপের দর্শন, ইউরোপের বিজ্ঞান, বাঙ্গালীর মনে অইল ক্লথের উপর জলের মত গড়িয়ে যায় নি; অল্প বিস্তর সে মনকে আর্দ্র ও সরস করে তুলেছে। অপরদিকে ইংরাজি শিক্ষার প্রভাবুে আমাদের মন সম্পূর্ণ অভিভূতও হয়ে পড়ে নি। ইংরাজি সভ্যতার দুর্বার শক্তি আমরা কতক পরিমাণে আয়ত্ব করতে পেরেছি। আমরা কতক বাধ্য হয়ে, কতক স্বচ্ছন্দ চিত্তে আমাদের মনকে এই নবাগত সভ্যতার অধীন করেছি। এর কারণ, এই নব সভ্যতার শিক্ষা গ্ৰহণ করবার জন্য আমাদের মন প্ৰস্তুত ছিল। বৰ্ত্তমান ইউরোপীয় সভ্যতা তিনটি মনোভাবের উপর দাড়িয়ে আছে। সে হচ্ছে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা। এ তিনেরই বীজমন্ত্র চৈতন্য বাঙ্গালীর কানে দিয়ে গেছেন। তিনি আপামর চণ্ডালকে কোল দিয়ে সাম্যের প্রতি, প্ৰেম ভক্তির উদ্বোধন করে মৈত্রীর প্রতি, এবং লোকাচারের অধীনতা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে স্বাধীনতার প্রতি বাঙ্গালীর মনকে অনুকুল করে গেছেন। তিনি যে ঊষর ক্ষেত্রে বীজ বপন করেন নি তার প্রমাণ, বাঙ্গলার অধিকাংশ লোক আজ চৈতন্য-পন্থী বৈষ্ণব এবং এই নতুন পন্থার প্রদর্শক তঁদের কাছে ভগবানের পূর্ণ অবতার বলে গ্রাহ। যে স্বল্প সংখ্যক লোকের মতে তিনি