পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৯৩ )

নিমিত্ত তথায় বিবিধ বিদ্যালয় সংস্থাপিত হয়; হাইপেসিয়ার পিতা পণ্ডিতবর থিয়ন্‌, তাহার অন্যতম বিদ্যালয়ের এক জন দর্শনশাস্ত্রের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি আপন কর্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিলে, বিদ্যাবতী হাইপেসিয়া সেই উচ্চপদে অভিষিক্ত হইলেন। যৎকালে তিনি আপন পদে সন্নিবিষ্টা হইয়া শিষ্যগণকে দর্শন শাস্ত্রের উপদেশ দিতেন, সেই সময়ে তদীয় জ্ঞানপূর্ণ সুমধুর উপদেশ শ্রবণের অভিলাষী হইয়া, তথায় বহুপ্রদেশীয় পণ্ডিতগণ সমাগত হইত। এইরূপে ক্রমে ক্রমে তাঁহার সমুজ্জ্বল যশঃপ্রভা, সর্ব্বত্র প্রতিভাত হইলে, পৃথিবীর সমস্ত সভ্য জনপদের বিদার্থিগণ সেকেন্দ্রিয়ানগরে উপস্থিত হইতে লাগিল। ইউরোপ ও আসিয়া হইতে কত ছাত্র যে তাঁহার নিকট অধ্যয়ন করিতে আসিত, তাহার সংখ্যা হয় না। তিনি যেমন বিদ্যাবতী তেমনি সচ্চরিত্রা ও নিরুপম রূপবতী ছিলেন; তাঁহার বিশুদ্ধ চরিত্র ও সদ্গুণ সকল না থাকিলে, তদীয় সৌন্দর্য্যের কথা উল্লেখ করা কখনই সংগত হইত না, কারণ যে নগরে পৃথিবীর নানাপ্রকার লোক মিলিত হইয়াছিল, যে স্থানে দুই প্রধান পক্ষের (পৌতলিক ও খৃষ্ট ধর্ম্মাবলম্বীদিগের) দলাদলি চলিতে ছিল, যথায় হিংসা দ্বেষাদিরও অভাব ছিল না, অবশ্যই তথায় মনুষ্যের চরিত্রে দোষ ঘটিবার সম্ভাবনা, কিন্তু তদীয় বিশুদ্ধ স্বভাবে অনুমাত্র দোষ স্পর্শ হয় নাই। তাঁহার জীবনচরিত লেখক খৃষ্টীয়ান্ ও ভিন্ন ধর্ম্মাবলম্বিগণ এক বাক্যে