পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৭ )

কহিলেন হে ভাতৃগণ! পিতৃধনে তোমাদিগের ও আমার তুল্য রূপ অধিকার আছে, অতএব অন্যায় পূর্ব্বক তাঁহার সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করা কোন মতেই তোমাদিগের উচিত নহে। তাঁহার ভ্রাতারা ভগিনীর ঈদৃশ বাক্যে একেবারে ক্রোধ ও লোভের বশীভূত হইয়া তাঁহাকে পৈতৃকবাটী হইতে দূরীকৃত করিয়া দিলেন। এথেনেস তখন কি করেন, নিরুপায় হইয়া পিতৃব্য-পত্নীর বাটীতে আশ্রয় লইলেন। তাঁহার পিতৃব্যপত্নী বাল্যকালাবধি তাঁহাকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন, এক্ষণে আদর পূর্ব্বক আপন গৃহে স্থান দিয়া তাঁহার ভ্রাতৃগণের বিপক্ষে রাজদ্বারে বিচার প্রার্থনা করিতে পরামর্শ প্রদান করিলেন। এথেনেস পিতৃব্যপত্নীর উৎসাহে প্রোৎসাহিত হইয়া তাঁহার সমভিব্যাহারে কন্‌ষ্টান্‌টিনোপল নগরের রাজসভায় উপস্থিত হইলেন। সেই সময়ে সম্রাট্‌ দ্বিতীয় থিয়োডোসস্‌ আপন ভগিনী পলচেরিয়ার সহিত একত্রে রাজ্য করিতেন। এথেনেস্‌ সেই রাজভগিনীর সমক্ষে ভ্রাতৃগণের অন্যায় আচরণের কথা বর্ণন করিয়া বিচার প্রার্থনা করিলেন। কুমারী পলচেরিয়া এথেনেসের মোহনমূর্ত্তি ও বিনীত স্বভাব দশনে বিমোহিতা ও করুণার্দ্রীভূতা হইয়া, তাঁহার যাবতীয় বৃত্তান্ত মনোেযোগ পূর্ব্বক শ্রবণ করিলেন এবং বিপক্ষদিগের যৎপরোনাস্তি নিষ্ঠুর ব্যবহার অবগত হইয়া সম্রাটের নিকট সমস্ত বিজ্ঞাপন করিলে, সম্রাট্‌ তাঁহার অসাধারণ গুণগরিমার