পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ২৪ )

রও অগোচর। আদৌ তাঁহার এরূপ স্থুল বুদ্ধি ছিল যে, তিনি অনেক চেষ্টা করিয়াও প্রথম শিক্ষার কয়েক খানি পুস্তক ভালরূপে অভ্যাস করিতে পারেন নাই, সুতরাং তাঁহার জনক, তজ্জন্য তাঁহার প্রতি একান্ত বিরক্ত হইয়া পাঠনাকার্য্যে তাঁহাকে ক্ষান্ত থাকিতে অনুমতি করিলেন। কিন্তু কারটর পিতার বাক্য না শুনিয়া অবিশ্রান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায় সহকারে অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করিলেন ও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন যে, যে কোন প্রকারে হউক বিদ্যা শিক্ষা করিব, কখনই ইহাতে ক্ষান্ত হইব না। তিনি এই রূপে প্রতিজ্ঞারূঢ হইয়া অহোরাত্র শিক্ষাকার্য্যে ব্যস্ত থাকিতেন। এমন কি রজনীর অধিকাংশ কাল নিদ্রা ত্যাগ করিয়া কেবল এক মনে পুস্তক অধ্যয়ন করিতেন। নিদ্রাকর্ষণের ভয়ে সিক্ত বস্ত্র মস্তকের পুরোভাগে জড়াইয়া রাখিতেন। তাঁহার পিতা, কন্যার বিদ্যা উপার্জ্জনে এরূপ অনুরাগ দেখিয়া সাতিশয় আহ্লাদিত হইয়াছিলেন বটে; কিন্তু কি জানি, দিবারাত্রি কঠিন পরিশ্রম দ্বারা উৎকট পীড়া হইতে পারে ভাবিয়া তাঁহাকে বুঝাইয়া বলিলেন, কারটর! তোমার অধিক রাত্রি জাগরণ করিয়া পাঠ অভ্যাস করিবার আবশ্যক নাই, দ্বিপ্রহর রাত্রি মধ্যে অধ্যয়ন কার্য্য সমাপ্ত করিয়া নিদ্রা যাইও। কারটর কি করেন পিতার আজ্ঞানুসারে প্রতিদিন দ্বাদশ ঘটিকা রাত্রির মধ্যে সমুদায় পাঠ সমাপ্ত করিয়া শয়ন করিতেন