পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩২ )

তাহা তদীয় কীর্ত্তিকলাপ দ্বারাই পৃথিবীর সকল জনপদে পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল।

 ১৭৬৬ খৃষ্টাব্দে তদীয় রাজ্যে পুনরায় যুদ্ধ আরম্ভ হইল; এই যুদ্ধ কএক বৎসর পর্য্যন্ত একাদিক্রমে থাকিয়া অবশেষে সন্ধি দ্বারা নিষ্পত্তি হয়। তাহাতে রাজ্ঞীর একটী বিশেষ উপকার লাভ হইয়াছিল, অর্থাৎ তাঁহার পুত্র যুসফ্‌ রোমরাজ্যের সিংহাসনে উপবিষ্ট হইলেন। পর বৎসর দুর্ভাগ্যক্রমে তাঁহার প্রিয়তম স্বামির পরলোক প্রাপ্তি হওয়াতে, রাজ্ঞীর আর শোকের ইয়ত্তা রহিল না, প্রতিনিয়ত হাহাকার শব্দে রোদন করিয়া উন্মত্তাপ্রায় হইলেন। পতির মৃত্যু দিবসে তিনি যে শোকসূচক কৃষ্ণবর্ণ পরিচ্ছদ পরিধান করিয়াছিলেন, তাহা আজীবন কাল পরিত্যাগ করেন নাই। রাজ্ঞী স্বামির এরূপ প্রণয়িনী ছিলেন, যে স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁহার প্রণয় বিস্মৃত হইতে না পারিয়া প্রতিমাসে এক এক বার তদীয় সমাধি স্থলে উপস্থিত হইয়া আর্ত্তনাদ করিতেন।

 ১৭৭২ খৃষ্টাব্দে, তিনি প্রুসিয়ার অধিপতি ও রুসিয়া রাজ্যের মহিষীর সহিত একত্রিত হইয়া পোলণ্ড রাজ্য অধিকৃত করিতে যত্নবতী হইলেন ও সাত বৎসর কাল পরে তৎপ্রদেশ হস্তগত করিয়া আপনাদিগের মধ্যে বিভাগ করিয়া লইলেন।

 রাজ্ঞী মেরিয়া, চিরজীবন স্বদেশের উন্নতিচেষ্টায়