পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩৫ )

তাহাকে তোমা হইতে স্বতন্ত্র রাখিতে অভিলাষ করি না। রাজকোষ হইতে তোমাদিগের বৃত্তি নির্দ্ধারিত করিয়া দিতেছি, তুমি গৃহে বসিয়া সুখ সচ্ছন্দে জীবনের অবশিষ্ট কাল অতিবাহিত কর এবং তোমার পুত্রও মাতার সেবা শুশ্রুষা করিয়া লোকসমাজে মাতৃভক্তির অসাধারণ উদাহরণ প্রদর্শন করুক।

 রাণী মেরিয়া থেরিসা এই প্রকার অসংখ্য দীন দরিদ্রের দুঃখ মোচন করিয়াছিলেন। তিনি রাজকন্যা ও এক প্রকাণ্ড সম্রাজ্যের অধিশ্বরী হইয়াও নিরহঙ্কার ও নম্রস্বভাবা ছিলেন। সম্ভ্রান্ত ও দীন দুঃখী উভয়কেই সমভাবে আদর করিতেন, তাঁহার বিনীতভাবে সন্তুষ্ট হইয়া এক সামান্য কৃষক কহিয়াছিল, যে “যদিও আমি এই রাজ্যের একজন দুঃখী প্রজা, তথাপি যখন ইচ্ছা করি, রাজ্ঞীর সমক্ষে উপস্থিত হইয়া সম্ভাষণ করিতে পারি এবং তিনিও আমাকে এক জন সন্ত্রান্ত লোকের ন্যায় সমধিক যত্ন করিয়া আমার প্রার্থনা শ্রবণ করেন”।

 এক দিন রাজ্ঞী মেরিয়া থেরিসা কোন কার্য্যান্তর হইতে রাজপ্রাসাদে প্রত্যাগমন করিতেছিলেন, ইতিমধ্যে পশ্চাতে কাতরধ্বনি শ্রবণ করিয়া দেখিলেন, একটী দীন হীন স্ত্রী, দুইটী শিশু সঙ্গে লইয়া আহার প্রার্থনায় তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধাবমান হইতেছে। তিনি তাহাদিগের কাতরধ্বনি শ্রবণ ও মলিন ভাব দর্শন করিয়া অতিশয় ক্ষুন্ন হইয়া ভাবিলেন, আহা! এরূপ