পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩৭ )

পড়ার প্রতি অসামান্য যত্ন ও অনুরাগ দেখিয়া পরম আহ্লাদিত হইয়াছিলেন।

 যদিও তিনি আপন সন্তানদিগকে তুল্যরূপ স্নেহ করিতেন, তথাপি জ্যেষ্ঠা কন্যার অসাধারণ বিদ্যাবুন্ধির পক্ষপাতী হইয়া তাঁহাকে সবিশেষ স্নেহ ও সমাদর করিতে লাগিলেন। লাটিন ভাষায় প্রবন্ধ রচনা করিতে মার্গ্রেটের অতি চমৎকার শক্তি জন্মিয়াছিল। তৎকৃত কোন কোন রচনা লোক সমাজে প্রচারিত হইলে, জনসাধারণে মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছিল, যে মার্গ্রেট রচনা বিষয়ে তাঁহার পিতাকে অতিক্রম করিয়াছেন। তাঁহার জনক, কন্যার এতাদৃশ রচনা শক্তির প্রশংসা শুনিয়া যৎপরোনাস্তি আনন্দিত হন ও তদীয় সমধিক জ্ঞানোন্নতির জন্য স্বয়ং তাঁহার সহিত বিবিধ বিষয়ের বাদানুবাদ আরম্ভ করেন। তাহাতে মার্গ্রেটের রচিত কয়েকটী পত্র এরূপ উৎকৃষ্ট হইয়াছিল, যে তাঁহার পিতা, সেই পত্রগুলি কয়েক জন বিখ্যাত পণ্ডিতের হস্তে প্রদান করিলে, তাঁহারা পাঠ করতঃ প্রচুর প্রশংসা করিয়াছিলেন।

 মার্গ্রেট, লাটিন ভাষায় বহু প্রকার কাব্য ও প্রবন্ধ রচনা করিয়া প্রচারিত করেন। তাঁহার রচিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে গ্রীক ভাষা হইতে লাটিনে অনুবাদিত “ধর্ম্মবিষয়ক পূরাবৃত্ত” নামক গ্রন্থ, সর্ব্বপ্রধান ও বিশেষ আদরণীয় বলিয়া প্রসিদ্ধ। যদিও তিনি অনবরত বিদ্যানুশীলনে নিযুক্ত থাকিতেন, তথাপি কখন সাংসারিক কার্য্যে