পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৫৩ )

দিতেন। তদীয় যত্নে ও পরিশ্রমে পালসেট্‌ গ্রামে একটা বালিকাবিদ্যালয় সংস্থাপিত হয়। এলিজাবেথ স্বয়ং বালিকাদিগকে শিক্ষা দান করিয়া অতি অল্পকাল মধ্যে বিদ্যালয়ের বিলক্ষণ শ্রীবৃদ্ধি সাধন করেন। এই রূপে তথায় কিছুকাল বাসের পর, কোন বিখ্যাত চিকিৎসকের সহিত তাঁহার আলাপ হয়। তিনি তাঁহার নিকট চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করিয়া তাহাতে বিলক্ষণ বুৎপত্তি লাভ করেন। তাঁহার সমধিক যত্নে ও সুচিকিৎসায় পালসেট্‌ গ্রামের পার্শ্ববর্ত্তি গ্রাম সমূহ হইতে বসন্ত রোগ প্রায় তিরোহিত হইয়াছিল। তিনি শীতাতুর দরিদ্রকে রোমজাত বস্ত্র ও রোগিদিগের প্রয়োজনীয় নানাবিধ ঔষধ বিতরণ করিয়া যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করেন।

 ফ্রাইয়ের, বাসগৃহের অনতিদূরে আয়র্লণ্ড দেশীয় কৃষকদিগের একটী উপনিবেশ ছিল। ঐ কৃষকেরা অতিশয় হীন বুদ্ধি, অসভ্য ও দুষ্ক্রিয়াসক্ত, সুতরাং দুর্গন্ধময় অস্বাস্থ্য গৃহে বাস ও কুৎসিত দ্রব্য ভক্ষণে, তাহারা নিয়ত রুগ্ন ও অকালে কালগ্রাসে পতিত হইত। ফ্রাই, আপন সদ্ব্যবহারে তাহাদিগের যথেষ্ট ভক্তিভাজন হইয়া উঠিলেন। তিনি কৃষক বনিতাদিগকে গার্হস্থ্য ধর্ম্মের সুশৃজ্বলা সাধনোপযোগী উপদেশ প্রদানে নিরন্তর যত্নবতী থাকিতেন। তাহাদিগের মধ্যে ক্ষুধার্ত্তকে আহার, বস্ত্র হীনকে বস্ত্র ও রোগীকে ঔষধ দান করা তাঁহার প্রধান কার্য্য